
সরকারের দুর্নীতি আর ভ্রান্ত নীতির কারণে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বুধবার, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২২, বিকেলে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। গত ১৪ ফেব্রুয়ারির বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভার আলোচিত বিষয় নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, ১৪ ফেব্রুয়ারির সভায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য চাল, ডাল, তেলের দাম এবং গ্যাস ও পানির দাম ধাপে ধাপে বাড়ানোয় নিম্ন-বিত্ত, নিম্ন-মধ্যবিত্ত, মধ্যবিত্ত শ্রমজীবী মানুষ চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সেসব বিষয়ে আলোচনা হয়।
তিনি বলেন, সভা মনে করে অনির্বাচিত সরকারের চরম দুর্নীতি, অপব্যয় এবং অপরিকল্পিত ভ্রান্ত নীতির কারণেই এসব পণ্যের দাম বাড়ছে। বিশেষ করে জ্বালানি খাতে কুইক রেন্টাল প্রজেক্টে বিনিয়োগে কোনো জবাবদিহি নেই, ঢাকা ওয়াসার সীমাহীন দুর্নীতি, ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাসকিম এ খানকে তিনবার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ, ব্যবস্থাপনা পরিচালকের মাসিক বেতন ৫ লাখ ১৬ হাজার টাকা, অব্যবস্থাপনার কারণে পণ্যের দাম বেড়ে যাচ্ছে। ৩৮ দশমিক ৮ শতাংশ দাম বাড়িয়ে প্রতি ইউনিটে (এক হাজার লিটার) ২১ টাকা গৃহস্থালি এবং ৫৫ টাকা ব্যাণিজ্যিক ব্যবহারের জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে। যা সাধারণ মানুষের ওপর ‘মরার ওপর খাঁড়ার ঘা’। উপরন্তু পানির মান অত্যন্ত নিচু হওয়ায় তা সেবন যোগ্যনয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, এ পরিপ্রেক্ষিতে পানির দাম বাড়ানো কোনোমতেই গ্রহণযোগ্য নয়। দেশে গ্যাস উৎপাদনের প্রতি গুরুত্ব না দিয়ে বিশেষ বিশেষ ব্যক্তিকে অনৈতিক মুনাফা পাইয়ে দেওয়ার জন্য এলপিজি গ্যাস আমদানি, আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমলেও বাংলাদেশে তেলের মূল্যবৃদ্ধি জনজীবনকে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন করছে। পণ্য পরিবহন ব্যয় ও সাধারণ মানুষের যাতায়াত ব্যয় অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে। একদিকে করোনার কারণে কর্মচ্যুতি, ব্যবসার ক্ষতি। অন্যদিকে পণ্যের দাম বাড়ায় নিম্ন-বিত্ত, নিম্ন-মধ্যবিত্ত, মধ্যবিত্ত শ্রমজীবী মানুষের জীবনকে দুর্বিসহ করে তুলেছে।
সভার পক্ষ থেকে অবিলম্বে পানি, গ্যাস, তেলের দাম কমিয়ে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নেওয়া এবং চাল, ডাল, তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমানোর জন্য কার্যকরী ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানানো হচ্ছে।