আবদুল্লাহ আল মামুন, সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার নওয়াবেঁকী বাজার সংলগ্ন জামান ব্রিকস নামীয় ইটেরভাটায় কাঠ পোড়ানো হচ্ছে। শতভাগ কয়লা ব্যবহারের নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও সম্পূর্ণ কাঠের উপর নির্ভর করে চলছে খোলপেটুয়া নদী তীরের ইট ভাটা। ইট প্রস্তুত নীতিমালা উপেক্ষা করে জালানী হিসেবে প্রকাশ্যে সেখানে কাঠ ব্যবহার করা হলেও অজ্ঞাত কারনে কেউ ‘টু’ শব্দটি পর্যন্ত করছে না।
অভিযোগ রয়েছে সুন্দরবন সংলগ্ন নদী তীরবর্তী ঐ ইটভাটার জন্য শ্যামনগর সদর ও বংশীপুরসহ উপজেলার বিভিন্ন প্রান্তের করাতকল থেকে কাঠ সরবরাহ করা হচ্ছে। প্রদর্শনের জন্য যৎসামান্য কয়লা প্রবেশদ্বারে স্তুপাকারে রাখা হলেও সেখানে দিন-রাত সার্বক্ষণিকভাবে কাঠ ব্যবহার হচ্ছে জ¦ালানী হিসেবে। সরেজিমনে জামান ব্রিকস-এ পৌছে দেখা যায় ভাটার উপর ও নিচে বেশ কয়েকটি স্থানে স্তুপাকারে রাখা হয়েছে করাতকলে চেরাইকৃত কাঠ। দায়িত্বে থাকা শ্রমিকরা একে একে সেসব স্তুপ থেকে কাঠ নিয়ে ভাটার মধ্যে নির্দিষ্ট স্থানে সাঁজিয়ে দিচ্ছে পরবর্তী পর্যায়ে আগুন জ¦ালিয়ে রাখার স্বার্থে। প্রতিষ্ঠানের মালিক ও ম্যানেজারসহ বেশ কয়েকজন এসময় সেখানে দাড়িয়ে ভাটার মধ্যে কাঠ দেয়ার কাজ তদারকিও করছে।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায় চৌদ্দ বা পনের দিনের প্রতি রাউন্ড ইট পোড়ানোর কাজে পাঁচশ’ থেকে সাতশ মন কাঠ প্রয়োজন হয়। এ ধারা অব্যাহত থাকলে আগামী জুন-জুলাই পর্যন্ত পাঁচ থেকে সাত হাজার মণ কাঠ সেখানে জ¦ালানী হিসেবে ব্যবহার হবে বলে তাদের ধারণা। সবকিছু প্রকাশ্যে হলেও জনপ্রতিনিধি, প্রশাসন কিংবা পরিবেশ অধিদপ্তর নিরবতা পালন করছে বলে তাদের দাবি।ছোট কুপোট গ্রামের আব্দুল আজিজসহ কয়েকজন জানায়, শুরুতে আগুন দেয়ার সময় কাঠে দরকার বলে প্রচার করলেও প্রায় দু’মাস ধরে সেখানে জ¦ালানী হিসেবে কাঠ ব্যবহার হচ্ছে। উপর মহলে প্রতিষ্ঠানের কর্তাদের সুসম্পর্ক থাকায় স্থানীয়রা এসব নিয়ে কথা বলে শত্রুতা বাড়াতে চায় না। নদী তীরবর্তী হওয়ায় অনেক সময় কার্গোযোগে পর্যন্ত সেখানে কাঠ নিয়ে আসা হয় বলেও এসব গ্রামবাসীর দাবি।
অভিযোগ উঠা জামান ব্রিকসের ম্যানেজার আল মামুন মুটোফোনে জানান শুরুতে আগুন দেয়ার জন্য কিছু কাঠ আনা হয়েছিল। সেগুলেঅ পরবর্তীতে আর সরানো হয়নি বলে তা ভাটার উপরে ও পাশে স্তুপাকারে রয়ে গেছে। সম্পূর্ণ জ¦ালানী কয়লার বলে তিনি দাবি করেন।
শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: আক্তার হোসেন জানান ইট ভাটায় কাঠ ব্যবহারে কঠিন বিধি নিষেধ রয়েছে। কেউ আইন অমান্য করে ভাটায় জ¦ালানী হিসেবে কাঠ ব্যবহার করলে প্রশাসনিকভাবে ব্যবস্থা নেয়া হবে।