আবদুল্লাহ আল মামুন, সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি:
পানি নিষ্কাশন ব্যাবস্থা না থাকায় ঝুকির মুখে রয়েছে মৎস ঘের সহ আমনের বীজতলা। এদিকে এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে একদল ভুমি দস্যু মাছ রক্ষার নামে নেটা পাটা দিয়ে সরকারি খালে দখল যজ্ঞে মেতেছে। দখল করে নিচ্ছে পানি নিষ্কানের জায়গা টুকুও, ফলে ভোগান্তিতে রয়েছে মৎসচাষী সহ কৃষক । দ্রুত পানি নিষ্কাশিত না হলে বড় অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখীন হবে কৃষক বলে দাবী স্থানীয়দের।
রবিবার সরজমিনে গেলে দেখা যায় সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটায় অধিকাংশ বিলে রোপন করা আমনের বীজতলার পানিতে ডুবন্ত অবস্থায় প্রায় ।
এছাড়া মৎসঘের দিয়ে পানি নিষ্কাশনের পথ না থাকায় ক্ষতির আসংখ্যায় কৃষক সহ মৎসচাষীরা। স্থানীয় কৃষক আবু হোসেন, মফিদুল ইসলাম, মতিয়ার সরদার, সালাম মোল্যা সহ কয়েকজন জানায়, পাটকেলঘাটার ধানদিয়া , নগরঘাটা, সরুলিয়া, খলিষখালী সহ বিভিন্ন বিলের পানি নিষ্কাশিত হয় এ পথ দিয়ে। সম্প্রতি পাটকেলঘাটার সরুলিয়া খেয়াঘাট হতে তেয়াশিয়া খাল, শাকদাহ, নগরঘাটা,বড়বিলা, তৈলকুপি, যুগপিুকুরয়িার,চোমরখালী বিলের বিভিন্নি পয়েন্টে নেট পাটা দেওয়ার কারনে বাধাগ্রস্থ হচ্ছে পানি প্রবাহ। এ ছাড়া চোমরখালী বিলে বিভিন্ন খালেও নেটপাটা দিয়ে মৎস্য শিকার করা হচ্ছে অবাদে । এ সকল খালে ৭-৮গ্রামের পানি প্রবাহিত হয়। কিন্তু অবৈধ দখলাদারিত্বে কারনে বন্ধ রয়েছে পানি প্রবাহ ব্যবস্থা। সম্প্রতি সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক অবৈধ ভাবে সকল নেটা পাটার অপসারণের নির্দেশ প্রদান করলেও, মানছেনা এসকল অবৈধ দখলদারেরা।
সরুলিয়া ইউপি চোয়ারম্যান মতিয়ার রহমান জানান, পানি প্রবাহ সচল না থাকার কারনে এলাকার বিল গুলোতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। জরুরী ভিত্তিতে খালগুলোর নেটপাটা অপসারন করলে এখনও চাষাবাদ করা সম্ভব। বিষয়টি নিয়ে তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তারিফ উল হাসানের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমাদের নেটপাটা অপসরনের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। যে সকল সরকারী খালে অবৈধভাবে নেট পাটা দেওয়া আছে তার দ্রুত অপসারন করা হবে।