সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে অপরাধ ও অপকর্মের অভিযোগ অস্বীকার করেছে রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগ।
রোববার রাজশাহী অ্যাসোসিয়েশন ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে জেলা ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতারা বলেন, ‘তাদের বিরুদ্ধে নানা অপবাদ দিয়ে দলীয় পদ থেকে অপসারণের ষড়যন্ত্র করা হয়েছে।’
ষড়যন্ত্রকারীরা সংগঠনের ভেতরেই আছে এবং তারা দলে থেকে বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে চায় বলে উল্লেখ করেন নেতৃবৃন্দ।
সম্প্রতি সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে কর্মীদের মারধর ও চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে কয়েকটি মামলা হয়েছে।
এছাড়া তাদের বিরুদ্ধে সংগঠনের নারী কর্মীদের হয়রানি ও মাদক সংশ্লিষ্টতার কিছু ভিডিও ও টেলিফোন কথোপকথনও ভাইরাল হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাকিবুল ইসলাম বলেন, ‘আপনারা তাদের চেনেন। আমাদের ভালো-মন্দ জানাতে তারা আপনাদের ফোন করে। তারা দলে পদ চায়।’
সভাপতি বলেন, ‘একজন নারীর সঙ্গে আপত্তিকর কথোপকথনের অডিওটি “সুপার এডিট” করা হয়েছে। এটা মোটেও আমার কণ্ঠ না। এটা পুরোপুরি ষড়যন্ত্র।’
তার বিরুদ্ধে করা চাঁদাবাজির মামলাও একটি ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেন তিনি। তবে ওই মামলায় আদালত তাকে তলব করে ১২ ডিসেম্বর হাজিরা দিতে বলেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন বলেন, ‘আমরা ষড়যন্ত্রের শিকার।’
সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে ফেনসিডিল খাওয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে জাকির হোসেন বলেন, ‘আমি কোমল পানীয় পান করছিলাম। কিন্তু ভিডিওর বর্ণনায় দাবি করা হয়েছে যে আমি মাদক সেবন করছিলাম।’
তবে ছাত্রলীগ অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।