সপ্তমবারের মতো ফুটবলের সবচেয়ে মর্যাদার পুরস্কার ব্যালন ডি’অর জিতলেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা লিওনেল মেসি। সোমবার দিবাগত রাতে প্যারিসের আলো ঝলমলে থিয়েটার ডু চ্যাটেলেটের অডিটোরিয়ামে ইতিহাসের প্রথম ফুটবলার হিসেবে সপ্তম ব্যালন ডি’অর গ্রহণ করেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক।
ব্যালন ডি’অরের লড়াইয়ে মেসি পেছনে ফেলেছেন বায়ার্ন মিউনিখের পোলিশ স্ট্রাইকার রবার্ট লেভানদোস্কি ও চেলসির ইতালিয়ান তারকা জর্জিনহোকে। এবার এই লড়াইয়ে অনেক পিছিয়ে ছিলেন সময়ের আরেক অন্যতম সেরা তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো।
৩৪ বছর বয়সী মেসি বছরের প্রথম ভাগে বার্সেলোনার হয়ে ছিলেন দুরন্ত ফর্মে। এরপর আর্জেন্টিনার হয়ে জিতেছেন পরম আরাধ্য কোপা আমেরিকা শিরোপা। সেই আসরে সর্বোচ্চ গোলদাতা ও সর্বোচ্চ অ্যাসিস্টদাতা ছিলেন মেসি। টুর্নামেন্টসেরার পুরস্কারও উঠেছিল তাঁর হাতেই।
নানা নাটকীয়তা শেষে মেসি বার্সেলোনা ছেড়েছেন এরপর। নতুন ক্লাব পিএসজি’তে এরই মধ্যে নিজেকে মানিয়েও নিয়েছেন তিনি। মেসির হাত ধরেই প্রথমবারের মতো পিএসজি’র ঘরে এসেছে ব্যালন ডি’অর।
ব্যালন ডি’অর পুরস্কার দিয়ে থাকে ফ্রেঞ্চ ফুটবল ম্যাগাজিন। তারা প্রথমে ৩০জন ফুটবলারকে বাছাই করে পুরস্কারের জন্য। এরপর ১৮০ জন নির্বাচিত সাংবাদিকের ভোটে ৩০ জন থেকে কমিয়ে তালিকাটা ছোট করে আনা হয় ৫ জনে।
এরপর এই ৫ জনের মধ্য থেকে সেরা ফুটবলার বাছাই করা হয় ৫০ জন বিশেষ সাংবাদিকের ভোটে। এ জায়গায় পয়েন্ট সিস্টেম রাখা হয়। ভোটাররা তাদের পছন্দের সেরা ফুটবলারকে নাম্বার দেবেন ৬, এরপর ৪, ৩, ২ এবং ১ করে। একইভাবে নারী ফুটবলার, সেরা উদীয়মান এবং সেরা গোলরক্ষক নির্বাচন করা হয়।