তিমির বনিক, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: সন্ত্রাসীদের হামলায় গুরুতর আহত অবস্থায় মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের হিসাব রক্ষক মোঃ আমিনুল ইসলাম।
গতকাল মঙ্গলবার (১৪জুন) বিকেলে কর্মস্থল থেকে কাজ শেষে কুলাউড়া থেকে বাস যোগে মৌলভীবাজারে বাসায় ফেরার পথে তার ওপর অতর্কিত হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে ১০ থেকে ১২ জনের একদল সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র রড, ধারালো ছুরি ও লোহার পাইপ দিয়ে আমিনুল ইসলামের উপর অমানবিক নির্যাতন চালায়।
সন্ত্রাসীদের দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে আমিনুল ইসলামের পুরো শরীর ক্ষতবিক্ষত হয়। বিশেষ করে রডের আঘাতে দুই পায়ে বড় বড় ধরনের ক্ষত দেখা দিয়েছে। পা দুটি ভেঙ্গে গেছে বলেও জানা গেছে।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে আমিনুল ইসলাম জানান, প্রতিদিনের ন্যায় কাজ শেষ করে বাসে চরে কুলাউড়া থেকে মৌলভীবাজার বাসায় ফিরছিলাম। বাসটি কুলাউড়ার স্কুল চৌমোহনা এলাকায় আসার সাথে সাথে একদল সন্ত্রাসী বাসের পথরোধ করে আমাকে বাস থেকে কলারে ধরে কিল ঘুষি মারতে মারতে নিচে নামায়। তখন কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই ১০ থেকে ১২ জন সন্ত্রাসীরদল আমার ওপর অমানবিক নির্যাতন চালাতে শুরু করে।
তিনি আরো বলেন, সন্ত্রাসীদের আঘাতে আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি, জ্ঞান ফিরলে দেখি আমি কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। পরে সেখানকার ডাক্তারদের সহযোগিতায় এম্বুলেন্স যোগে আমাকে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
আমিনুল ইসলাম বলেন, সন্ত্রাসীদের আমার পরিচিত কেউ হয়তো প্রাণে হত্যার উদ্দেশ্যে ভাড়া করে আমার পিছনে লেলিয়ে দিয়েছে।
এ বিষয়ে কুলাউড়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। আমি থানায় মামলা করব, আমি এখন একা আমার স্ত্রী ও ছোট ছোট দুটি বাচ্চা রয়েছে। তাদেরকে নিয়ে এখন আমি বড় চিন্তায় আছি। তিনি বলেন, আমি আশঙ্কা করছি আমার স্ত্রী সন্তানদের ওপরেও সন্ত্রাসীরা হামলা চালাতে পারে। সেজন্য খুব দ্রুত সন্ত্রাসীদের যেন আইনের আওতায় আনা হয় এটাই এখন আমার মূল চাওয়া।
এছাড়াও তিনি সন্ত্রাসীদের সাথে জড়িত সকলকে খুব দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য অনুরোধ জানান, কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ ও মৌলভীবাজার জেলা পুলিশ সুপারের কাছে আবেদন জানায়।