জাহাঙ্গীর কবীর বাপপি: একশ্রেণীর অসাধু ট্রাভেল এজেন্সীর সিন্ডিকেটের যোগসাজশে বাংলাদেশের বিমানবন্দরগুলোর কিছু দূর্নীতিবাজ কর্মচারীদের দ্বারা সংযুক্ত আরব আমিরাতগামী ভিজিট ভিসাধারী যাত্রীদের হয়রানী ও কন্ট্রাক্ট বানিজ্যের প্রতিবাদে ক্ষতিগ্রস্ত প্রবাসী ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা আবুধাবিতে সাংবাদিক সম্মেলন করেছে।
শনিবার আবুধাবীর একটি রেস্তোরায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে উপস্থিত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে আলোচনা করেন ব্যবসায়ী জিয়া উদ্দিন তরফদার, আব্দুল মান্নান, শাহেদ নূর,আতাউর রহমান আতা ও আজমল খান।
এতে তারা অভিযোগ করেন যে,বিগত ৮ বছরেরও বেশী সময় ধরে আমিরাতে বাংলাদেশীদের ভিসা বন্ধ।যা আমাদের এই সম্ভাবনাময় শ্রমবাজারটিকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে।সম্প্রতি সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকার ভিজিট ভিসায় বাংলাদেশীদের বৈধভাবে আমিরাতে আসার সুযোগ দিচ্ছে। ভিজিট ভিসায় আমিরাতে আসার পর ভিসা স্ট্যাটাস পরিবর্তন করে কোম্পানির ভিসা বা পার্টনার ভিসা লাগানোর সুযোগ করে দিয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের এয়ারপোর্টে ভিজিট ভিসাধারীদের আটকে দেওয়া হচ্ছে।
তারা অভিযোগ করেন,বিমানবন্দরের কিছু অসাধু কর্মচারী বৈধ ভিজিট ভিসা সহ যাবতীয় ট্রাভেল ডকুমেন্ট থাকা সত্বেও ভিজিট ভিসাধারীদের আসতে বাধা সৃষ্টি করছে।কেবল ‘কন্ট্রাক্ট বানিজ্য’র মাধ্যমে ভিজিট ভিসাধারীদের আসতে দিচ্ছে। যারা কন্ট্রাক্ট করছে না তাদের আটকে দিচ্ছে।
এতে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপনকালে ব্যবসায়ী জিয়াউদ্দিন তরফদার বলেন,এভাবে চলতে থাকলে আমরা আরো ক্ষতিগ্রস্থ হব। বাংলাদেশ থেকে ৫০ হাজার টাকা বিমান ভাড়ায় যেখানে তারা এদেশে আসতে পারতেন এখন তাদেরকে দেড় লাখ থেকে এক লাখ আশি হাজার টাকায় চুক্তিতে আসতে হচ্ছে যার ব্যয়ভার বহন করা প্রান্তিক মানুষের পক্ষে দূঃসাধ্য। প্রবাসী সংগঠক শাহেদ নূর এ সমস্যার সমাধানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী, বেসামরিক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন।