সংবিধান সংশোধনে আগামী ১ জুলাই দেশজুড়ে ভোট হবে বলে জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
২২ এপ্রিল ভোটটি হওয়ার কথা থাকলেও করোনাভাইরাসের কারণে তা পেছানো হয়েছিল। সোমবার প্রেসিডেন্ট ভোটের এ নতুন তারিখ ঘোষণা করেন বলে রয়টার্স জানিয়েছে।
সোমবার কর্মকর্তাদের সঙ্গে টিভিতে সম্প্রচারিত এক বৈঠকে পুতিন বলেন, আমরা ১ জুলাইয়ে রাশিয়ান ফেডারেশনের সংবিধান সংশোধন প্রশ্নে দেশজুড়ে ভোট অনুষ্ঠান করব।
তিনি বলেন, দেশে করোনাভাইরাসের প্রকোপ কমেছে। এখন নির্বাচনী কমকর্তারা নিরাপদে ভোট নিতে পারবেন।
২০০০ সালে প্রথমবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন তিনি। এরপর থেকেই টানা ২০ বছর ক্ষমতায় রয়েছেন। তার বর্তমান ক্ষমতার মেয়াদ শেষ হবে ২০১৪ সালে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে হঠাৎ সংবিধান পরিবর্তনের ঘোষণা দেন পুতিন।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে সংবিধান পরিবর্তন নিয়ে ভোট অনুষ্ঠানের প্রস্তাব দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট পুতিন। রাশিয়ার পার্লামেন্ট এবং সাংবিধানিক আদালত এরই মধ্যে পরিবর্তনগুলো অনুমোদন করেছে।
পুতিন রাশিয়ায় দীর্ঘ ২০ বছর ক্ষমতায় আছেন। বর্তমান সাংবিধানিক নিয়ম অনুযায়ী, ২০২৪ সালের পর আর প্রেসিডেন্ট পদে থাকতে পারবেন না সাবেক এ কেজিবি কর্মকর্তা। এজন্য সংবিধান নামের সেই কাটা উপড়ে ফেলতে চান পুতিন।
সংবিধানের এই আমূল পরিবর্তনের মাধ্যমে পুতিন ভবিষ্যতে আবার রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতায় আসার সুযোগ পাবেন।
পুতিন বলছেন, পার্লামেন্টের শাসন ও গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে সংবিধান সংশোধনের প্রয়োজন। তবে পুতিনের সমালোচকদের দাবি, অতীতের মতো সংবিধান সংশোধন করে ক্ষমতার কেন্দ বিন্দুতে থাকতেই এ পরিবর্তন আনার পরিকল্পনা তার।
স্ট্যালিনের পর রাশিয়ার সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদি শাসক পুতিন। প্রায় ২০ বছর ধরে রাশিয়ার ক্ষমতায় থাকা পুতিন কখনও প্রেসিডেন্ট ছিলেন, কখনও বা প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। এরমধ্য দিয়ে তিনি দেশটিতে অপ্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠেছেন।
তার ক্ষমতা আঁকড়ে থাকার ইচ্ছা নিয়ে বহু আগ থেকে বিশ্লেষকরা সতর্কতা করে আসছেন।
রাশিয়ার পুরো একটি প্রজন্ম পুতিনকে ছাড়া অন্য কোনো শাসক দেখেনি। অদূর ভবিষ্যতে দেখার সম্ভাবনাও কম।