এশিয়া কাপ জয় করে আকাশে উড়তে থাকা শ্রীলঙ্কাকে মাটিতে নামিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই অঘটনের জন্ম দিলো নামিবিয়া। প্রথম রাউন্ডের প্রথম ম্যাচে লঙ্কানদের কেবল ৫৫ রানেই হারায়নি নামিবিয়া, নিজেদের ইতিহাসে অন্যতম দারুণ জয়ের সাথে এশিয়া কাপ জয়ীদের বড়সড় এক ধাক্কাও দিয়েছে জেরার্ড ইরাসমাসের দল।
নামিবিয়ার দেয়া ১৬৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে দাসুন শানাকার দল। দুই ওপেনার কুশল মেন্ডিস ও পাথুম নিশাঙ্কা ফিরে গেছেন ২১ রানের মধ্যেই। এরপর রানের খাতা খোলার আগেই মুখোমুখি হওয়া প্রথম বলে ফিরে গেছেন দানুশকা গুনাতিলাকা। টানা দুই বলে নিশাঙ্কা ও গুনাতিলাকাকে আউট করে জোড়া আঘাত হানেন শিকোঙ্গো।
এরপর বড় ইনিংস খেলতে পারেননি কেউই। হাসারাঙ্গাও আউট হয়েছেন ৪ রানে। অধিনায়ক শানাকা নিজে, ভানুকা রাজাপাকসে এবং ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা ছাড়া দুই অংকের রানে পৌঁছুতে পারেনি কোনো লঙ্কান ব্যাটার। ১৯ ওভারেই তাই মাত্র ১০৮ রানে অলআউট হয়ে অসহায় আত্মসমর্পণ করেছে শ্রীলঙ্কা। সেই সাথে, সুপার টুয়েলভের পথ কিছুটা হলেও কঠিন হয়ে গেল লঙ্কানদের জন্য। নামিবিয়ার পক্ষে ডেভিড ভিসা, বার্নার্ড শোলজ, এবন শিকোঙ্গো এবং ইয়ান ফ্রাইলিংক নিয়েছেন ২টি করে উইকেট।
এর আগে, অস্ট্রেলিয়ার গিলংয়ের সাইমন্ডস স্টেডিয়ামে টস জিতে নামিবিয়াকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক দাসুন শানাকা। ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই শ্রীলঙ্কাকে ব্রেক থ্রু এনে দেন পেসার দুষ্মন্থ চামিরা। ৬ বলে ৩ রান করে প্রমোদ মধুশানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান মাইকেল ফন লিংগেন। পরের ওভারের একেবারে শেষ বলে ব্যাটার ডিভান শানাকার হাতে ক্যাচ দেন। ১৬ রানের মাথায় পড়ে দ্বিতীয় উইকেট। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে নামিবিয়া। ৫ম ওভারে চামিকা করুনারত্নের লফটি ইটনের উইকেট তুলে নেন।
এরপর দলীয় ৭৬ রানের মাথায় অধিনায়ক ইরাসমাস ২০ রান করে সাজঘরের পথ ধরেন। ইয়ান ফ্রাঙ্কলিংক দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৪ রান করেন। ২৮ বলের ইনিংসটি সাজানো ছিল ৪ টি চারের মাধ্যমে। দক্ষিণ আফ্রিকার বংশোদ্ভূত ডেভিড ভিসা কোনো রান করার আগেই সাজঘরে ফেরেন। তবে স্মিথ ১৬ বলে সমান দুই চার ও ছক্কায় ৩১ রান করে অপরাজিত থাকেন। শ্রীলঙ্কার পক্ষে প্রমদ মধুশান ২টি উইকেট পান। এছাড়া মাহেশ থিকশানা, চামিরা, করুনারত্নে ও হাসারাঙ্গা নেন একটি উইকেট।