তিমির বনিক, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল প্রশাসন যখন চোখ রাঙ্গিয়ে বালু খেকোদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছে। ঠিক তখনি বালু খেকোদের দৌড়াত্ম এতটাই বেগমান যে প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে কোন কিছুর তোয়াক্কা না করে অবাধে অবৈধ ভাবে বালু খেকোদের বালু চুরি বন্ধ করতে বেগ পেতে হচ্ছে উপজেলা জুড়ে।
অদ্য রোববার রাত্র আনুমানিক ১০ টার দিকে উপজেলার আশিদ্রোন ইউপির মতিগঞ্জ বিলাস ছড়া থেকে অবৈধ ভাবে কোন রকম অনুমতি ছাড়া দিন রাত এই অবৈধ বালু উত্তোলন ও রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে অবিরত বিরামহীন ভাবে চালিয়ে যাচ্ছে। রাতে বালু ভর্তি ট্রাক গাড়ি নজরে আসলে এগিয়ে গিয়ে জানতে চাই কে এই বালু বিক্রি করছে ও কিভাবে বিক্রি করছেন এসব ট্রাক চালকের সাথে তথ্য নিতে যা প্রয়োজন হয় তাই কথা চলছিল। আচমকা বালু খেকো হায়দর মিয়ার ছেলে সালমান এগিয়ে এসে কোন কিছু শুনা বা বুঝার আগেই প্রতিবেদকের সঙ্গে অশালীন ব্যবহার এবং উপর মহলসহ গুন্ডা, মাস্তানদের যেটুকু ব্যবহার আশা করার কথা ছিল না সেটুকু করে সালমান নামক সন্ত্রাসী বালু খেকো। এক সময় শব্দ শুনে আশ পাশের মানুষ আসলে আমার পরিচিত জন ও তাদের মধ্যে এসে উপস্থিত হয়। এ সময়ের মধ্যে অবৈধ বালু খেকো হায়দর মিয়ার ছেলে সালমান সহ জোর পূর্বক বালু উত্তোলন করবে এবং সব বাজে ভাষার প্রয়োগ করে হুমকি ধামকি প্রধান শুরু করে। তোমধ্যে ঐ স্থান থেকেই আমি প্রশাসনের সহকারী ভূমি সন্দীপ তালুকদার শ্রীমঙ্গলকে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে বিস্তারিত বলার পর তিনি জানান এদের মাত্র ক’দিন আগে বালু জব্দ সহ জরিমানা করা হয়েছিল। কিন্তু তারা আবারও অবৈধ ভাবে তাদের কর্মকাণ্ড চালিয়ে দিয়েছে।
তখন আমাকে তিনি বলেন আমি শহরের বাহিরে আছি, তবে আপনি ঐ স্থান ত্যাগ করে আসেন এবং আগামীকাল এদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস প্রদান করেন এবং এও বলেন সকল বালু খেকোদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে প্রশাসন কাজ করবে। আমি এর মধ্যে উনার কথা শুনে আশ্বস্ত হয়ে সফর সঙ্গী ছিলেন সহকর্মী জবর আলী রানা সহ মোটরসাইকেল নিয়ে চলে আসি। আজ সোমবার এর মধ্যে শ্রীমঙ্গল সহ-সার্কেল শহিদুল হক মুন্সীর সাথে যোগাযোগ করলে বিস্তারিত জানার পর তিনি জানান, আইনি যত রকম সহযোগিতা প্রয়োজন করা হবে এবং এই অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে অভিযান পরিচালনা করা হবে ও আইনের আওতায় আনা হবে বলে আশ্বস্ত করেন।