আবদুল্লাহ আল মামুন: সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগরের রমজাননগরে প্রশাসনকে বোকা বানিয়ে কয়েক কোটি টাকার মূল্যে তক্ষক সাপ উধাও ৷ রমজাননগর ইউনিয়নের নম্বর ওয়ার্ড টেংরাখালি গ্রামে একটি ৫৩০ গ্রাম ওজনের ১৮ ইঞ্চি লম্বা তক্ষক সাপ ধরেছে স্থানীয়রা৷
এলাকা সূত্রে জানাগেছে যে, শ্যামনগরের রমজাননগর টেংরাখালী গ্রামের বর্তমান কলারোয়ার মৃত হামিজউদ্দীনের পুত্র বারী ওরফে গুটি বারি কয়েক বছর আগে একটি তক্ষক সাপের বাচ্চা এনে তার বসত অযোগ্য বাড়ীতে ছেড়ে দিয়ে রাখে। সেই থেকে ধীরে ধীরে সাপটি বড় হতে থাকে।
শুকুর আলীর পুত্র আঃ কাদের, রমজান আলীর পুত্র বিল্লাল হোসেন, আব্দুল সরদারের পুত্র এমাম সরদার, আনিসুর রহমানের পুত্র বাদশা ৪ জন প্রায় সময়ে কাদেরের বাড়িতে জুয়া খেলে থাকে ৷ প্রতিদিনের মত গত ২৫ সেপ্টম্বর ২০২১ তারিখ সকাল ১০টার দিকে জুয়া খেলার সময় কাদের তার ঘরে সাপটি চলাচল করতে দেখতে পাই । আব্দুল কাদের সাপটি দেখে কৌশলে ধরে । বাদশা অথাৎ স্থানীয় ইউপি সদস্য আবদুল হামিদ লাল্টুর মেজ ভাইয়ের পুত্র বাদশা তার চাচাকে অবহিত করলে সাপটি নিয়ে যায় আব্দুল হামিদ লাল্টু ।
এই নিয়ে এলাকায় জানাজানি হলে পাশ্ববর্তী কৈখালী কোষ্টগার্ট খবর পেয়ে আব্দুল হামিদ লাল্টুর কাছে ফোনে জানালে লাল্টু কৌশলে সাপটি একুই এলাকার গফুর গাজীর পুত্র আঃ রবকে দিয়ে সরিয়ে ফেলে ৷
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন মৎস্যঘের কর্মচারী বলেন, কাদের ফোনে একজনের সাথে কথা বলতে শোনে ২ কোটি টাকা প্রশাসনকে দেবো কিন্তু সাপ দেবো না ৷ প্রশাসন গুলি করে মেরে ফেললেও না ৷
তবে স্থানীয় প্রতিনিধির কাছে একটি ভিডিও রয়েছে যে ভিডিওটা ধারণ করেছে স্থানীয় মমিন আলীর পুত্র শাহীনুর ৷ যে ভিডিওর মধ্যে কয়েক কোটি টাকা কেনা-বেচা হবে ৷ এদিকে প্রশাসনকে বোকা বানাতে এলাকা থেকে একটি গুইসাপ ধরে কৈখালী কোষ্টগাটের কাছে হস্তান্তর করে ইউপি সদস্য আব্দুল হামিদ লাল্টু ৷
একটি বিশেষ সূত্রে জানাগেছে যে, ঐ দিন রাত ১১টার সময় হামিজউদ্দীনের পুত্র বারী ওরফে গুটি বারি তার বর্তমান বাড়ি কলারোয়া থেকে টেংরাখালীতে আসে এবং সেই রাতেই ২ টার সময় কলারোয়ায় চলে যায় ৷ এই নিয়ে এলাকায় ব্যপক চঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে ৷
টেংরাখালী ইউপি সদস্য আব্দুল হামিদ লাল্টুর সাথে যোগাযোগ করতে গেলে তার ফোন বন্ধ ছিলো ৷
বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় কৈখালী কোষ্টগার্ড কর্মকর্তা বলেন, আসামি ছাড়া আমরা আটক করতে পারি না ৷ তাই ফরেষ্টের অবহিত করা হয়েছে ৷ কৈখালী ফরেস্ট কর্মকর্তা মোবারক হোসেন বলেন, বিষয়টি আমি জানি না৷