
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে দুই দিনের বাংলাদেশ সফরে এসে প্রতিবেশী বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্র ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সাতক্ষীরার শ্যামনগরের যশোরেশ্বরী কালী মন্দির পরিদর্শন করেছেন। শনিবার (২৭ মার্চ) সকালে মন্দির পরিদর্শনকালে তিনি কৃষ্ণবর্ণ কষ্ঠিপাথরে নির্মিত মনোহর কালী মূর্তির পূজাঅর্চনা করেন।
এর আগে সকাল ১০টা ১২ মিনিটে নরেন্দ্র মোদি হেলিকপ্টার থেকে অবতরণ করেন। সেখানে তাকে স্বাগত জানান বিশিষ্টজনেরা।
এরপর তিনি দীপ্ত পায়ে হেঁটে মন্দিরে প্রবেশ করেন। এ সময় উলুধ্বনি ও শঙ্খধ্বনিতে মোদিকে বরণ করে নেন স্থানীয় নারী পূজারীরা। মন্দিরে প্রবেশের পর রীতি অনুযায়ী দেবীকে মুকুট পরিয়ে দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। এরপর দেবীর বস্ত্রদান সম্পন্ন করেন তিনি। দেবীকে মাল্যদানের পর যোগাসনে বসে পাঠ করেন পূজার মন্ত্র। পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের পর তিনি দেবীকে প্রদক্ষিণ করেন।
স্থানীয় পূজারীদের সঙ্গে কথা বলছেন নরেন্দ্র মোদি
স্থানীয় পূজারীদের সঙ্গে কথা বলছেন নরেন্দ্র মোদি
পূজা শেষে পুরোহিত তাকে উত্তরীয় পরিয়ে দেন। এরপর ভারতের প্রধানমন্ত্রী স্থানীয় পূজারীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। স্বাক্ষর করেন ভারতীয় একটি চ্যানেলের পরিদর্শন বইতে। এরপর সকাল ১০টা ৩৬ মিনিটে তিনি গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশে সাতক্ষীরা ত্যাগ করেন।
সাতক্ষীরায় এটি কোনও বিদেশি সরকার প্রধানের প্রথম আগমন। মোদির আগমনকে সাতক্ষীরার শ্যামনগরকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেওয়া হয়।
এদিকে, প্রতিবেশী বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে শ্যামনগরে সাজ সাজ রব পড়ে যায়। মন্দির সংস্কার থেকে শুরু করে রাস্তাঘাট সব কিছু যেন নতুন করে ফিরে পেয়েছে প্রাণ। প্রস্তুত করা হয় তিনটি হেলিপ্যাড। গ্রহণ করা হয় নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা। মোদিকে স্বাগত জানাতে বাঁশের তৈরি নানা রকম কারুকার্যে নান্দনিক রূপে সাজানো হয় যশোরেশ্বরী মন্দির প্রাঙ্গণ।