তিমির বনিক, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: পৃথিবীতে অনেক হত্যা কান্ড সংঘটিত হয়েছে,তবে ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারকে হত্যার মতো নির্মম হত্যাকান্ড কোথাও সংঘটিত হয়নি। এই হত্যাকান্ডে জিয়াউর রহমান জড়িত ছিল। শেখ হাসিনাকে কয়েকবার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। নেই চেষ্টায় জিয়াউর রহমানের পরিবারের সদস্য জড়িত ছিল। তবে রাখে আল্লাহ, মারে কে? তিনি আজো বেঁচে আছেন। তিনি বেঁচে আছেন বলেই আপনাদের ললিতকলা একাডেমি প্রতিষ্টিত হয়েছে। না হলে ললিতকলা নির্মিত হতো না। আমরা বিশ্বাস করি শেখ হাসিনার হাতে যতদিন দেশ থাকবে,পথ হারাবে না বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৪টায় মণিপুরী ললিতকলা একাডেমির নান্দনিক ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্টানে এ কথাগুলো বলেছেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি। তিনি আরো বলেন, কমলগঞ্জের মতো এতো প্রত্যন্ত এলাকায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্টির জন্য এতো দৃষ্টি নন্দন ললিতকলা একাডেমি নির্মিত হয়েছে তা কল্পনার বাইবে ছিল। যেখানে কল্পনা হার মানে, সেখানেই শেখ হাসিনা বাস্তব হয়ে দেখা দেয়। এই স্থাপত্যটি দেখে আমার মনটা ভরে গেছে।
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের সচিব মো. আবুল মনসুর এর সভাপতিত্বে ও সুতবা সিনহার পরিচালনায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন- সংস্কৃতি মন্ত্রণালযের প্রতিমন্ত্রি কে এম খালিদ এমপি।
বিষেশ অতিথি উপাধ্যক্ষ ড. মো. আব্দুস শহীদ এমপি।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য অসীম কুমার উকিল এমপি, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও প্রকল্প পরিচালকের যুগ্ম সচিব মোঃ শামীম খাঁন, পুলিশের এডিশনাল ডিআইজি নাবিলা জাপরিন, মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহ্সান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপারেশন) সুদর্শন কুমার রায়, উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. রফিকুর রহমান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিফাত উদ্দিন। বক্তব্য রাখেন- বীর মুক্তিযোদ্ধা আনন্দ মহন সিংহ ও জিডিশন সুচিয়াং।
উল্লেখ্য যে, মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার মাধবপুরে সংষ্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে প্রায় ১৮ কোটি ৪ লক্ষ টাকা ব্যয়ে চারতলা বিশিষ্ট নবনির্মিত মণিপুরী ললিতকলা একাডেমি প্রশিক্ষণ সেন্টার, প্রশাসনিক ভবন, গেস্ট হাউজ ও ডরমিটরি ভবনের নির্মিত হয়েছে তার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।