বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ রাব্বী হত্যা মামলার ২০ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১। এই মামলার রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন আবরার ফাহাদের বাবা। তিনি বলেছেন, কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে যেন আর কোনো বাবা-মায়ের বুক খালি না হয়, সেই আশাই করি।
মামলার রায় ঘোষণার পর উপস্থিতির সাংবাদিকদের কাছে আবরার ফাহাদের বাবা প্রধানমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী, রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং সংবাদমাধ্যম কর্মীদের ধন্যবাদ জানান। তিনি আরও বলেন, মহামান্য সুপ্রিম কোর্ট যেন এই রায় বহাল রাখেন এবং রায়টি দ্রুত কার্যকর করেন, সেই আশাই করি।
বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ রাব্বী হত্যা মামলার ২০ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড এবং বাকি ৫ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে। বুধবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন। এর আগে সকাল সোয়া ৯টার দিকে ২২ আসামিকে আদালতে নেয়া হয়।
এর আগে মামলার ৬০ সাক্ষীর মধ্যে ৪৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয় ৪ মার্চ। ২৫ আসামির মধ্যে কারাগারে থাকা ২২ জন নিজেদের নির্দোষ দাবি করে সাফাই সাক্ষ্য দেয়। পলাতক থাকায় ৩ আসামি আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ পায়নি। চলতি বছরের ১৪ নভেম্বর রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য ২৮ নভেম্বর দিন ধার্য করা হয়। ওই দিন রায় প্রস্তুত না হওয়ায় বিচারক রায় ঘোষণার জন্য ৮ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন।
উল্লেখ্য, বুয়েটের তড়িৎ কৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষে পড়াকালীন ২০১৯ সালে ৬ অক্টোবর রাতে ছাত্রলীগের এক নেতার কক্ষে নিয়ে নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করা হয় আবরারকে। ৭ই অক্টোবর ভোররাতে আবরার ফাহাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয় বুয়েটের শেরে বাংলা হল থেকে। দেশের অন্যতম এই বিদ্যাপীঠে একজন শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনাটি ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়। এরপর এই ঘটনার সাথে যুক্ত অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে মাঠে নামে সারা দেশের শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ। আবরার হত্যার পর শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে পরে ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করে বুয়েট।