শাহ সুমন, বানিয়াচং প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে চাঁদা না দেয়ায় দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ও তার পিতাকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করার অভিযোগ উঠেছে ২নং ইউনিয়নের ইউপি মেম্বার জিতুসহ তার সহযোগিদের বিরুদ্ধে।
গতকাল (১৭ এপ্রিল) রবিবার ২নং ইউনিয়নের শহীদ উল্লার ছেলে ও ৪নং ওয়ার্ডের বর্তমান মেম্বার জিতু মিয়া ও একই এলাকার ইউসুফ উল্লার ছেলে মাসুক মিয়া গংদের বিরুদ্ধে প্রতিকার চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে দরখাস্ত করেন মহারত্নপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেনীতে পড়ুয়া নির্যাতিতা ওই শিক্ষার্থী।
অভিযোগ ও নির্যাতিত পরিবার সূত্রে জানা যায়,
বৃদ্ধ আফরোজ মিয়া ২নং ইউনিয়নের চানপাড়া মহল্লার দরিদ্র একজন কৃষক। ৩ কন্যা সন্তানের পিতা তিনি।বয়সের ভারে কাজ করতে পারেন না। মেয়েদের নিয়ে কষ্টে দিনাতিপাত করছেন। এরই মধ্যে গত ১১ এপ্রিল সোমবার সকালে রাস্তা নির্মাণের জন্য মেম্বার জিতু মিয়া চাঁদার টাকা দাবী করে বসেন।
কিন্তু দরিদ্র কৃষক আফরোজ মিয়া চাঁদার টাকা দিতে অক্ষমতা প্রকাশ করলে,মেম্বার জিতুসহ তার নেতৃত্বে মাসুক গংরা মিলে তার বসতবাড়িতে ডুকে তাকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে।এসময় আফরোজ মিয়ার দশম শ্রেণীতে পড়ুয়া মেয়ে পিতাকে বাঁচাতে তাদেরকে বাধা দিলে হামলাকারীরা তাকেও বেধরক মারপিট করে তার স্কুল ড্রেস ছিড়ে অর্ধ-উলঙ্গ করে দেয়। বাপ মেয়ের চিৎকারে আশপাশ থেকে লোকজন এগিয়ে আসলে মেম্বার বাহিনী পালিয়ে যায়।স্থানীয়রা রক্তাক্ত বাপ মেয়েকে উদ্ধার করে চিকিৎসা করান।
অপরদিকে হামলার বিষয়টি এলাকার মাতব্বরসহ গ্রামের সবাই অবগত থাকলেও শালিসে বসাতে পারেননি ওই প্রভাবশালী দাঙ্গাবাজ মেম্বার জিতু গংদের। মামলা দায়েরের সামর্থ না থাকায় প্রধানমন্ত্রী বরাবরে প্রতিকার চেয়েছেন তারা।
জানতে চাইলে হামলার বিষয়ও অভিযোগ সম্পর্কে মেম্বার জিতু মিয়া জানান,ঘটনা এত বড় না। তৃতীয় পক্ষ বিষয়টি নিয়ে আমাকে ফাসাতে চাচ্ছে। সম্পূর্ণ অভিযোগ মিথ্যা। চানপাড়া গ্রামের সুমন লস্কর জানান মেম্বার জিতু ও তার লোকজন ভালোনা।
এ ব্যাপারে চানপাড়া মহল্লার সর্দার রাসেল মিয়া বলেন,হামলার ঘটনা সত্য। আমরা মহল্লাবাসী বিষয়টি শালিসে নিস্পত্তি করার জন্য ডেকেছিলাম। জিতু মেম্বার পাত্তা দেয় নাই।