বিষয়টি নিশ্চিত করে এয়ারপোর্ট এপিবিএনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে এদিন (১৬ মে) সকাল থেকেই এয়ারপোর্ট এপিবিএন এবং ডিএনসির যৌথ আভিযানিক দল বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ টার্মিনালের সামনে অবস্থান করছিল। বেলা ১১টার দিকে অভিযুক্ত নূর মোহাম্মদকে পাবলিক টয়লেটের সামনে দেখতে পায় আভিযানিক দলের সদস্যরা।
এসময় তাকে অপ্রস্তুত এবং সন্দেহজনক অবস্থায় ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে এসময় তিনি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে, তাকে আটক করে আভিযানিক দল। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কোনো ধরনের মাদক বহনের কথা তিনি অস্বীকার করলেও, এয়ারপোর্ট এপিবিএনের অফিসে এনে বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদ করলে তার কাছে ইয়াবা আছে বলে স্বীকার করেন নূর মোহাম্মদ।
পরবর্তীতে তিনি নিজেই তার কাছে থাকা ইয়াবা বের করে দেন। গণনার পর দেখা যায়, সেখানে ২২৬৮ পিস ইয়াবা রয়েছে। আসামি নূর মোহাম্মদ (৩৮) কক্সবাজার জেলার উখিয়া থানার পালংখালী গ্রামের মো. ইসমাইলের ছেলে।
এপিবিএনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরও জানান, এর আগেও (২০১৮ সালে) নূর মোহাম্মদকে ইয়াবাসহ আটক করে বিমানবন্দর থানায় মামলা দায়ের করে এয়ারপোর্ট এপিবিএন। বর্তমানে সেই মামলায় জামিনে আছেন তিনি। জামিনে বের হয়ে তিনি আবারও ইয়াবা পাচারে জড়িয়ে পড়েন।
তার বিরুদ্ধে আগের মাদক সংক্রান্ত অন্তত আরও দুটি মামলা রয়েছে বলে জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক।
আসামি নূর মোহাম্মদের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে বিমানবন্দর থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।