সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে দেশে ফেরা মির্জা সেলিম নামের এক প্রবাসী তার লাগেজ হারিয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেছেন। ১৫ বছর দুবাই কাটানো মির্জা সেলিম এক মাসের ছুটিতে দেশে ফিরে এই বিপত্তির মুখে পড়েন।
তিনি জানান, বিয়ে উপলক্ষে বিদেশে কেনা বিভিন্ন জিনিসপত্রে ভর্তি ছিল লাগেজটি। ঢাকায় হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নেমে সেই লাগেজ খুঁজে পাননি সেলিম। চার দিন পর লাগেজ ফিরে পেলেও দেখেন যে প্রায় ১০ কেজি ওজনের জিনিসপত্র গায়েব। এতে হতাশ হয়ে পড়েন তিনি।
ভুক্তভোগী মির্জা সেলিম জানান, ৮ জুলাই তিনি দুবাই থেকে এয়ার এরাবিয়ার ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসি। বিমানবন্দরের লাগেজ বেল্টে আমার লাগেজ পাননি। ওই দিন বিমানবন্দরে সন্ধ্যা পর্যন্ত অপেক্ষায় ছিলেন, কিন্তু লাগেজ পাননি। এয়ার এরাবিয়ার কর্মকর্তারা সেদিন তাকে বলেছিল, লাগেজ পরের দিন বাড়িতে পৌঁছে দেয়া হবে। কিন্তু পৌঁছে দেয়া হয়নি।
লাগেজ পেতে সেলিমকে ১২ জুলাই পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। তিনি বলেন, ‘আমি এয়ার এরাবিয়ার দেয়া মোবাইল নম্বরে যোগাযোগের চেষ্টা করেছি, কিন্তু তারা কেউ ফোন ধরেনি। ১২ জুলাই আমার মোবাইল নম্বরে কুরিয়ার সার্ভিস এসএ পরিবহন থেকে ফোন আসে, সেখান থেকে আমাকে লাগেজ সংগ্রহ করতে বলা হয়।’
রাজধানীর দনিয়া এলাকায় থাকেন প্রবাসী মির্জা সেলিম। যাত্রাবাড়ী এলাকায় এসএ পরিবহনের অফিসে গিয়ে নিজের লাগেজ নিয়ে এলেন বাড়িতে, বাড়িতে গিয়ে দেখেন রুপার অলঙ্কার, মেয়েদের ঘড়ি, কসমেটিকসহ প্রায় ২৫ হাজার টাকার জিনিসপত্র গায়েব। লাগেজের চেইন ভাঙা।
মির্জা সেলিম বলেন, এসএ পরিবহনের অফিসে গিয়ে দেখলাম, আমার লাগেজ প্লাস্টিক দিয়ে র্যাপিং করা, কিন্তু আমি লাগেজ র্যাপিং করিনি। এসএ পরিবহনের কর্মীরা জানান, এভাবেই নাকি বিমানবন্দর থেকে লাগেজ এসেছে তাদের কাছে। লাগেজে র্যাপিং করা থাকায় আমি আর কোনো বিষয় খেয়াল করতে পারিনি। বাড়ি গিয়ে দেখি আমার লাগেজের চেইন ভাঙা, জিনিসপত্র নেই।
শুধু সেলিম নন। এভাবে প্রতিনিয়ত হয়রানির শিকার হচ্ছে অনেকেই। অনেকেরেই মালামাল গায়েব হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
এই ব্যাপারে আন্তর্জাতিকভাবে এভিয়েশন নিয়ম-নীতি থাকলেও বাংলাদেশের প্রায় বিমানবন্দরগুলোতে এই নিয়মনীতি মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ রয়েছে।
উৎসঃ দৈনিক নয়া দিগন্ত