হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গোতে পণ্য পরিবহণে ভয়াবহ জট তৈরি হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দক্ষ জনবলের অভাব, স্ক্যানিং মেশিন ও ওজন মাপার যন্ত্র বিকল থাকায় এমন জট।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আগের ধারণ ক্ষমতার দ্বিগুণের বেশি কার্গো ডেলিভারি করতে হচ্ছে এখন প্রতিদিন।
আগে প্রতিদিন গড়ে ১৫টি কার্গো ফ্লাইট থাকলেও এখন গড়ে শিডিউল নন-শিডিউল মিলে অর্ধশতাধিক ফ্লাইট ওঠানামা করছে। পণ্য স্ক্যানিংয়ে এখন একমাত্র ভরসা ৪ কুকুরের ডগ স্কোয়াড। যার কারণে পণ্য রপ্তানিতে বড় ধরনের ধস নেমেছে। তবে দু-একদিনের মধ্যে বিকল ইডিএস মেশিন সচল হলে এই জট থাকবে না বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এমন ধীরগতি চলতে থাকলে ঝুঁকিতে পড়বে বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি আদেশ। অপরদিকে স্ক্যানিংয়ে সমস্যা হলে যে কোনো সময় ফের বন্ধ হয়ে যেতে পারে ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশে কার্গো পরিবহণ।
এদিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কার্গো পরিবহণে ধস নামায় অনেক ক্রেতা তাদের পণ্য পরিবহণে কলকাতা বিমানবন্দর ব্যবহারে আগ্রহ দেখাচ্ছে। অনেকে ইতোমধ্যে কলকাতা বিমানবন্দর দিয়ে কার্গো পরিবহণের জন্য সংশ্লিষ্টদের চিঠি দিয়েছে।