ঢাকা থেকে যাওয়ার পর মধ্যপ্রাচ্যের দুটি দেশে বেশ কিছু বাংলাদেশি শ্রমিক পেটের পীড়ায় আক্রান্ত হয়েছেন।
ঢাকার হজরত শাহজালাল বিমানবন্দরের দোকানের খাবার তাদের অসুস্থতার কারণ কি না, সেই প্রশ্ন উঠেছে। তবে বিমান বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, বিমানবন্দরে পচা-বাসি খাবার বিক্রি হয় না।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে জানা গেছে, কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাত দূতাবাস থেকে ঢাকায় জানানো হয়েছে যে ডিসেম্বর মাসে বেশ কিছু যাত্রী ঢাকা থেকে যাওয়ার পরপরই পেটের পীড়ায় আক্রান্ত হয়।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে এনিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে পড়েন।
তিনি বলেন, “এটা আমাদের নলেজে এসেছে। খুব লার্জ স্কেলে নয়। আমরা ইউএইতে ১২০ জনের সংবাদ পেয়েছি। কাতারে পেয়েছি ৬০ জনের।
“সেখানকার সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কাজ করছে। কারণ আমাদের দেশের মানুষের পাশাপাশি তাদের দেশের নাগরিকেরাও আক্রান্ত।”
গত ডিসেম্বর মাসে রেকর্ড সংখ্যক বাংলাদেশি বিদেশে কাজের জন্য গেছে।
বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকের অভিবাসন কর্মসূচির প্রধান শরীফুল হাসান জানান, ডিসেম্বর মাসে ১ লাখ ৬৪ হাজার কর্মী বিদেশে গেছে, যা গত ৫০ বছরের মধ্যে সর্বাধিক।
প্রবাসীদের যাওয়া এক দিকে যেমন বেড়েছে, তেমনি মহামারীর মধ্যে কোভিড পরীক্ষা এবং রানওয়ের কাজের জন্য বিমানবন্দরে যাত্রীদের বেশি সময় থাকতে হচ্ছে।
আমিরাতগামী যাত্রীদের যাত্রার ন্যূনতম ছয় ঘণ্টা আগে কোভিড পরীক্ষার জন্য বিমানবন্দরে পৌঁছতে হচ্ছে। এসময় তারা বিমানবন্দরেই পানাহার করছেন।
বিমানবন্দরের গাড়ি পার্কিংয়ের নিচতলায় স্থাপিত কোভিড পরীক্ষার জন্য আরটি পিসিআর পরীক্ষাগারের এসব যাত্রীদের অনেক সময় পার করতে হচ্ছে। সেজন্য পরীক্ষাগারের ভেতরে বসানো হয়েছে চারটি খাবারের দোকান। এছাড়া বিমানবন্দরের ভেতরে কিছু খাবারের দোকান রয়েছে।
তবে এসব দোকানে খাবারের কোনো সমস্যা নেই বলে দাবি করেছেন শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ এইচ এম তৌহিদুল আহসান।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বিমানবন্দরের যেসব খাবারের দোকান রয়েছে, সেগুলো আমরা নিয়মিত চেক করছি। স্যানিটারি ইন্সপেক্টরের একটা আলাদা শাখা রয়েছে।
“আরটিপিসিআর ল্যাবের ভেতরে যে চারটি খাবারের দোকান রয়েছে, সেগুলোও আমাদের তদারকির মধ্যে আছে। আমি বলতে পারি, আমাদের এসব রেস্তোঁরায় কোনো পচা-বাসি খাবার খাওয়ানো হয় না।”
তিনি বলেন, দূরদূরান্ত থেকে আসা যাত্রীদের অনেকে নিজেরাই খাবার নিয়ে আসেন। সেই খাবারের মান ঠিক নাও থাকতে পারে।
এজন্য বেবিচক চেয়ারম্যান বিদেশগামী যাত্রীদের বাইরের খাবার আনা বন্ধের নির্দেশনা দিয়েছেন বলে জানান তৌহিদুল।
“কারণ ওই খাবারের গুণগত মানের যেহেতু নিশ্চয়তা নেই, তাই আমরা অ্যালাই করব না। যাতে করে তারা সেগুলো খেয়ে পথিমধ্যে অসুস্থ হয়ে না পড়ে।”
উৎসঃ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম