কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র মনে করে র্যাব কিছু ক্ষেত্রে মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে। তাই শাস্তি হিসেবে নয়, বরং সংশোধনের জন্যই নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দেশটি।
রোববার (১৬ জানুয়ারি) বাংলাদেশে নিযুক্ত বিদায়ী মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলারের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
আবদুর রাজ্জাক বলেন, কিছু ক্ষেত্রে র্যাব ভুল করে থাকতে পারে। সেজন্য বাহিনীর ১৯০ কর্মকর্তার শাস্তিও হয়েছে।
তিনি জানান, র্যাবের কয়েকজন কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে মার্কিন প্রশাসন। বাংলাদেশ যেন মানবাধিকার রক্ষায় আরও সতর্ক হয় বা পরিস্থিতির উন্নতি হয়। এ কারণেই নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।
কৃষিমন্ত্রীকে এসব কথা জানিয়েছেন খোদ বিদায়ী মার্কিন রাষ্ট্রদূত। আবদুর রাজ্জাক বলেন, বাংলাদেশ সফলভাবে জঙ্গি দমন করায় যুক্তরাষ্ট্র সরকার প্রশংসা করেছে। তাদের ধারণা- কিছু ক্ষেত্রে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে। সেটার উন্নতি হওয়া দরকার। তাই এ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে তারা। মার্কিন প্রশাসন আশা করে, বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নতি হবে।
মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে সম্প্রতি র্যাব এবং বাহিনীটির সাবেক ও বর্তমান সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্যে র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) এবং বর্তমানে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদও রয়েছেন।
গত ১০ ডিসেম্বর বিভিন্ন দেশের ১৫ ব্যক্তি এবং ১০ প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্রের রাজস্ব দপ্তর। মানবাধিকার লঙ্ঘনে উত্তর কোরিয়া ও মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশকে বিবেচনা করে যুক্তরাষ্ট্র।