যশোর জেলা প্রতিনিধিঃ যশোরের শার্শায় ১৭ টি স্পটে চলছে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন। ফলে উপজেলা ব্যাপী পরিবেশসহ সাধারণ জনগণ রয়েছে চরম হুমকির মুখে। বালু উত্তোলনে তিন ফসলী জমি ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় প্রতিকারের আশায় ক্ষতিগ্রস্থ ভূক্তভোগীরা।
এদিকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে ভূগর্ভস্থ বালি উত্তোলন সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ প্রশাসন দাবি করে। শুধু তাই নয় বালু উত্তোলনের পাশাপাশি অগণিত স্পটে চলছে ফসলি জমি থেকে পুকুর খনন করে মাটি কাটার হিড়িক।
প্রকাশ্যে এমন বালু ও মাটি খেকোরা দিনের পর দিন অবৈধভাবে নৈরাজ্য চালিয়ে গেলেও এদেরকে রুখতে নজর পড়ছেনা কারো।ফলে এই সমস্ত ভূমি খেকোদের দৌরাত্ম্য দিনে দিনে বেড়েই চলেছে।
সরেজমিনে তথ্য অনুসন্ধানে দেখা যায়, শার্শা উপজেলার ১৭ টি স্পটে শুধু ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে লাখ লাখ টাকার ব্যবসা করছেন এলাকার প্রভাবশালীরা। দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় তিন ফসলী কৃষি জমি নষ্ট হচ্ছে।
বালু বহনকারী ট্রাকের অবাধে চলাচলে ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে গ্রামীন সড়ক ও জনপদ। হুমকির মুখে পড়েছে অনেক বসতবাড়ি, পুকুরসহ মানুষের স্বাভাবিক জীবন যাত্রা। প্রশাসনের নাম ভাঙ্গিয়ে হুমকি ধামকি দিয়ে দিনের পর দিন ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করায় বাধা দেওয়ার সাহস পর্যন্ত পায় না এলাকাবাসী।
এসব অবৈধ বালু উত্তোলনকারীর আইন গত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে স্থানীয় কৃষকরা জোর দাবী জানিয়েছেন। এসব নেতিবাচক প্রভাবের ফলে প্রাকৃতিক পরিবেশ যেমন বিপন্ন হচ্ছে তেমনি মানুষও আক্রান্ত হচ্ছে নানা শ্বাসকষ্ট জনিত রোগে। বালু উত্তোলনে সৃষ্ট বায়ু দূষণে মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকিও বেড়ে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর আলিফ রেজা বলেন, কেউ যদি অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করে তাহলে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
ইতিমধ্যে আমরা বেশ কয়েকটি ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা পরিচালনা করেছি। এরপরেও যদি কোথাও কেউ অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে থাকে, তাহলে আমরা সংবাদ পাওয়া মাত্রই অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অবৈধভাবে বালু ও মাটি উত্তোলন বন্ধ না করলে আগামীতে কৃষি জমি নষ্ট হয়ে শষ্য উৎপাদনে ব্যাপক হুমকীর মুখে পড়বে এবং অনেক কৃষক হারাবে তাদের তিন ফসলী আবাদী জমি। তাই শুধু অভিযোগের অপেক্ষা করে নয় সরেজমিনে এই সকল স্পটে অভিযান পরিচালনা করে বালু ও মাটি উত্তোলন বন্ধ করবে প্রশাসন এমনটাই কামনা করেন সচেতন মহল।