
যশোর জেলা প্রতিনিধি: যশোরের শার্শার সাড়াতলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরী কাম প্রহরী সাইফুল ইসলাম সুমন কর্তৃক অধ্যয়নরত ৫ম শ্রেনির কোমলমতি ছাত্রীদের জোর পূর্বক যৌণ হয়রানি ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে। ঘটনা জানাজানি হলে প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির কোন পদক্ষেপ না নেওয়ায় সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে সঠিক বিচারের আশায় অভিভাবকবৃন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও অফিসার ইনচার্জ শার্শা থানার নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার না পেলে যে কোন সময় অনাকাংখিত ঘটনা ঘটতে পারে এবং ছাত্রীদের অন্য বিদ্যালয়ে স্থানান্তর করা হবে দাবি করেন অভিভাবকেরা।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তরিকুল ইসলাম তার ছোট ভাই সাইফুল ইসলাম সুমনকে আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে দপ্তরী কাম প্রহরী পদে নিয়োগ দেন। নিয়োগের পর থেকে সে কাউকে তোয়াক্কা না করে বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধামকি দিয়ে ছাত্রীদের স্পর্শকাতর জায়গায় হাত দেওয়া ও অশালীন কথাবার্তা চালিয়ে যাচ্ছেন। ভয় দেখিয়ে ছাত্রীদের বিভিন্ন ভাবে উত্তক্ত, জোর পূর্বক যৌন হয়রানি ও শ্লীলতাহানি করে। এ কথা বাড়িতে জানালে বড় ভাইকে বলে ফেল করিয়ে দেবো জানায়। প্রধান শিক্ষক বিভিন্ন সময়ে আপন ভাইয়ের এহেন অপরাধ জানার পরেও তাকে বাঁচিয়ে দেওয়ায় বার বার সে এ ধরণের জঘণ্য অপরাধ করে।
গত ১৮/০৯/২০২৩ তারিখ সুমনের যৌন হয়রানি ও শ্লীলতাহানির বিষয়টি এক ছাত্রী তার বাবাকে জানালে ঘটনাটি আস্তে আস্তে চাউড় হয়। এ ঘটনার পর থেকে সুমন পলাতক। একে একে ১২ জন অভিভাবক লিখিতভাবে প্রধান শিক্ষক ও সভাপতিকে জানানোর পরেও কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় অন্যান্য অভিভাবক বৃন্দ ও এলাকাবাসী ফুঁসে ওঠে।
তবে এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তরিকুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে আমি কোন বক্তব্য দিবো না।
শার্শা থানা অফিসার ইনচার্জ এস এম আকিকুল ইসলাম বলেন, আমি একটি অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে সত্যতা পেলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার নারায়ন চন্দ্র পাল বলেন, এ বিষয়ে অভিভাবকেরা একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। আমি তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়েছি। তদন্ত কর্মকর্তা তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে।
দপ্তরী কাম প্রহরী সাইফুল ইসলাম সুমনকে চাকরীচ্যুত ও প্রধান শিক্ষক তরিকুল ইসলামকে অন্যত্র বদলী করার মাধ্যমে বিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ ফিরে আসবে বলে মনে করেন ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসী।