
এশিয়া কাপের ফাইনালে খেলার দারুণ সম্ভাবনা হাতছাড়া করেছে বাংলাদেশ। সুপার ফোরের শেষ দুই ম্যাচে হেরে হতাশ করেছে সমর্থকদের। এক সপ্তাহ না পেরোতেই আবার মাঠে নামছে বাংলাদেশ। ব্যর্থতাকে পেছনে ফেলে সমর্থকদের মুখে হাসি ফোটানোর লক্ষ্যে আফগানদের মুখোমুখি হচ্ছে টাইগাররা।
বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটিতে রশিদ খান-মোহাম্মদ নবীদের বিপক্ষে মাঠে নামবে তাসকিন-মুস্তাফিজরা। সারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায়। খেলা দেখা যাবে টি-স্পোর্টস ও নাগরিক টিভিতে। অনলাইনে ট্যাপম্যাড অ্যাপে।
এশিয়া কাপে একই গ্রুপে ছিল বাংলাদেশ আর আফগানিস্তান। ‘বি’ গ্রুপে দুই দলের সেই দেখায় জয় তুলে নিয়েছিল বাংলাদেশ। সেই ৮ রানের জয়েই সুপার ফোরের জায়গা করে নিয়েছিল লিটন দাসের দল। সেই জয়ের আত্মবিশ্বাস নিয়েই এ ম্যাঠে নামবে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।
তবে সামগ্রিক টি-টোয়েন্টির পরিসংখ্যানে বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে আছে আফগানরা। এখন পর্যন্ত ১৩টি ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ আর আফগানিস্তান। এর মধ্যে বাংলাদেশের জয় ছয়টি ম্যাচে আর আফগানিস্তানের সাতটিতে।
শারজাহর উইকেটে কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে বাংলাদেশকে। কারণ, এই সময়ে সাধারণত শারজাহর উইকেটে স্পিনারদের দাপট দেখা যায় বেশি। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে উইকেট থেকে সহায়তা পেতে শুরু করেন স্পিনাররা। একে তো আফগানদের স্পিন আক্রমণ এখন বিশ্বের অন্যতম সেরা, তার ওপর বাংলাদেশের ব্যাটারদের স্পিন দুর্বলতা। সব মিলিয়ে কঠিন পরীক্ষাই দিতে হবে টাইগার ব্যাটারদের।
এশিয়া কাপের সুপার ফোরের শেষ দুই ম্যাচেই ব্যাটিং ব্যর্থতায় পুড়েছে বাংলাদেশ। পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৩৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে পারেনি বাংলাদেশ। থেমেছে ১২৪ রানেই। তাই ব্যাটিং ব্যর্থতা থেকে বের হওয়াই বাংলাদেশের জন্য এখন বড় চ্যালেঞ্জ।
ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে এসে আজ বুধবার (১ অক্টোবর) ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক জাকের আলীর কণ্ঠেও শোনা গেলো তেমন কথাই। তিনি বলেন, ‘চ্যালেঞ্জ বলতে নির্দিষ্ট দিনে ভালো করতে হবে। মূল পরিকল্পনা থাকবে ব্যাটিং ইউনিট হিসেবে যেন ভালো করতে পারি। যেহেতু এশিয়া কাপেও ব্যাটিংয়ের জন্যই সাফার করতে হয়েছে। এখানে তাই ব্যাটিংয়ের দিকেই সবচেয়ে বেশি মনোযোগ থাকবে।’
চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রেখেছেন আফগান অধিনায়ক রশিদ খানও। মজা করতে নয়, বিশ্বকাপের আগে তিনি নিজেদের প্রমাণের মঞ্চ হিসেবে দেখছেন এই সিরিজকে। লশিদ বলেন, ‘এমন নয় যে, এশিয়া কাপে ভালো খেলিনি দেখে, এটা মজা হিসেবে নিবো। আমরা এখানে মজা করতে আসিনি। বিশ্বকাপের আগে আমরা ভারসাম্যপূর্ণ দল হয়ে ওঠতে চাই।’
চোটের কারণে এই সিরিজেও খেলতে পারছেন না নিয়মিত অধিনায়ক লিটন দাস। তার পরিবর্তে স্কোয়াডে ডাকা হয়েছে সৌম্য সরকারকে। কিন্তু ভিসা জটিলতার কারণে এখনো সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিমান ধরতে পারেননি তিনি। প্রথম ম্যাচে খেলা নিয়ে তাই দেখা দিয়েছে শঙ্কা।
তাই এ ম্যাচেও সাইফ হাসান ও তানজিম হাসান তামিমের ওপেনিং জুটি দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। তিন নম্বরে নামতে পারেন পারভেজ হোসেন ইমন। আর উইকেটে স্পিনারদের আধিক্য থাকায় রিশাদ হোসেনের সঙ্গে শেখ মেহেদি আর নাসুম আহমেদ, দুজনকেই দেখা যেতে পারে একাদশে।