সিলেটে শাবিপ্রবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে পুলিশের লাঠিচার্জের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় শিক্ষার্থীদের সাথে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলে।
জানা গেছে, আইসিটি ভবনে উপাচার্জকে অবরুদ্ধ করে রাখা শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশ প্রায় পঞ্চাশটির মতো সাউন্ড গ্রেনেড প্রয়োগ করা হয়েছে। পুলিশ সেখানে অবস্থান নেয়ার পর তাদের লাঠিচার্জ ও সাউন্ড গ্রেনেডের মুখে শিক্ষার্থীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। শিক্ষার্থীদের যেখানে যে অবস্থায় পাওয়া গেছে সেখানেই পুলিশ তাদের বেধড়ক পিটিয়েছে। নারী শিক্ষার্থীদের উপরেও পুলিশ হামলা চালায়। সেখানে অবস্থানরত বিশ্ববিদ্যালয়টির কয়েকজন শিক্ষক সেই শিক্ষার্থীদের রক্ষা করার চেষ্টা করলে তাদের উপরেও পুলিশ লাঠিচার্জ করে।
শাবিপ্রবির উপাচার্জকে পুলিশি প্রহরায় আইসিটি ভবন থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা একদিকে এবং বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কর্মীরা অন্যদিকে অবস্থান নেয়ায় ক্যাম্পাস এখন উত্তপ্ত। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সাথে যোগ দিতে আসা সাধারণ শিক্ষার্থী এবং তাদের সাথে কথা বলতে আসা একজন শিক্ষকের উপরও লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ। আহত শিক্ষার্থীদের সংখ্যা এখনও পরিষ্কারভাবে জানা যায়নি।
শিক্ষার্থীদের ৩ দফা দাবি পূরণে কোনো ধরনের আশ্বাস দেয়া হয়নি উপাচার্জ থেকে। প্রভোস্ট বডির পদত্যাগসহ ৩ দফা দাবিতে আন্দোলন করে আসছিল শাবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা।
এর আগে, সিলেটে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমদকে আইসিটি ভবনে অবরুদ্ধ করে রেখেছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। সিলেটে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভোস্ট বডির পদত্যাগসহ ৩ দফা দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস আটকে রাখে শিক্ষার্থীরা।
রোববার (১৬ জানুয়ারি) সকাল থেকেই অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের বাস আটকে দেন তারা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দেয়া হয় আন্দোলন থেকে।
বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রভোস্ট জাফরিন আহমেদ লিজার পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করে আসছিল হলের শিক্ষার্থীরা। গত রাতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে ছাত্রলীগ। এ সময় আন্দোলনরত ছাত্রীদের ঠেলে ভেতরে ঢোকে ছাত্রলীগ কর্মীরা। এ সময় তারা স্লোগান দিলে ছাত্রীরা তাদের বাধা দেয়। এরপর ছাত্রীরা তাদের ঠেলে বাইরে বের করে দিলে আন্দোলনে অংশ নেয়া কয়েকজন ছাত্রের ওপর হামলা চালায় ছাত্রলীগ।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মৃন্ময় দাস ঝুটনের নেতৃত্বে ছাত্রলীগ নেতা খলিলুর রহমান, আশরাফ কামাল আরিফ, সজিবুর রহমান, ঋষাণ তন্ময়, মাহবুবুর রহমান, সাজ্জাদ হোসেন, শফিউল হক রাব্বি এ হামলা চালিয়েছে।