তিমির বনিক, মৌলভীবাজার থেকে: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর ইউনিয়নের শিংরাউলী গ্রামে অভিনব কায়দায় একটি বাসায় চুরি সংগঠিত হয়েছে। বুধবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে এ ঘটনাটি ঘটে। খালি বাসা পেয়ে চোরচক্র বাসার সিসি টিভির ক্যামেরায় কালো গেঞ্জি কাপড় দিয়ে ঢেকে পিছনের দরজা ভেঙ্গে বাসায় প্রবেশ করে তিনটি কক্ষের সবগুলো আলমারি, ওয়াড্রপ, ড্রয়ার ভেঙ্গে তছনছ করে ৫ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ লক্ষাধিক টাকা নিয়ে গেছে।
বাসার মালিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সমরজিৎ স্বর্ণকার বলেন, বছর খানেক আগে তার মা মারা গেছেন। তার বড় ভাই শুল্ক বিভাগে ঢাকায় চাকুরিরত বলে তিনি স্ত্রী সন্তান নিয়ে সেখানে থাকেন। আর তিনি (সমরজিৎ) প্রাথমিকের প্রশিক্ষণে মৌলভীবাজার পিটিআই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ছিলেন। এ সুযোগে একদল চোর মুখোশ পরে বুধবার ভোর রাত সাড়ে ৪টার দিকে তাদের বাসায় এসে প্রথমে সিসিটিভির ক্যামেরা কালো গেঞ্জি কাপড় দিয়ে ঢেকে দেয়। এর পর তারা বাসার পিছনের দরজা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে। বাসার তিনটি কক্ষের সবগুলো আলমারি, ওয়াড্রপ ও ড্রয়ার ভেঙ্গে কাপড়চোপড় ও অন্যান্য মালামাল তছনছ করে। তারা আলমারিতে রাখা ৫ ভরি ওজনের স্বর্ণালঙ্কার ও পারিবারিক একটি কাজের জন্য রাখা নগদ লক্ষাধিক টাকা নিয়ে গেছে।
ঘটনার খবর পেয়ে বুধবার সকালে শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক সোহেল আহমেদের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
শমশেরনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো: জুয়েল আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ বাসায় কেউই সাময়িকভাবে থাকছেন না জেনেই পরিকল্পিতভাবে চোরচক্র রীতিমত আধুনিক কায়দায় এ চুরি করেছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তক্রমে চোর চক্রকে ধরার জন্য তিনি পুলিশ কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানান।
শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক সোহেল আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ বাসায় এখন কেউ থাকছেন না তা জেনে সু-পরিকল্পনা করেই চুরি হয়ে বলে তার ধারণা। সিসিটিভি বন্ধের আগের কিছু ফুটেজ সংগ্রহ করে দেখা হচ্ছে। তার বিশ্বাস এ সিসিটিভি ফুটেজ ধরেই চোরচক্রকে ধরা যাবে। তাছাড়া এ বাসা এলাকার কোন অপরাধী জড়িতও থাকতেও পারে বলে তিনি জানান।