মঙ্গলবার বিকালে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের স্থায়ী কমিটি দলের এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘‘ লোডশেডিং ও জ্বালানি খাতে অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানোর জন্য ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিন ও অন্যান্য মহানগর আগামী ২৯ ও ৩০ জুলাই এবং সকল জেলা পর্যায়ে আগামী ৩১ জুলাই প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠানে সিদ্ধান্ত দলের স্থায়ী বৈঠকে নেয়া হয়েছে।”
‘‘ ঢাকায় ২৯ জুলাই মহানগর উত্তর এবং ৩০ জুলাই দক্ষিন মহানগর বিক্ষোভ করবে।”
সোমবার তারেক রহমানের সভাপতিত্বে দলের স্থায়ী কমিটির সভার সিদ্ধান্তসমূহ জানাতে মঙ্গলবার বিকালে সংবাদ সম্মেলন করেন বিএনপি মহাসচিব।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘‘ সরকারের নিজস্ব ব্যবসায়ীদের মুনাফার স্বার্থের জন্য পরিকল্পিতভাবে নিয়মনীতি বিসর্জন দিয়ে চাহিদার অতিরিক্ত বিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপন, কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্ল্যান্টের সুযোগ প্রদানের ভয়াবহ দুর্নীতির কারণে ক্যাপাসিটি চার্জ বাবদ প্রচুর অর্থ ব্যয় করার ফলে বর্তমানে এই অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে।এসব বিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপনের ক্ষেত্রে ইনডেমনিটি আইন তৈরি করে নজিরবিহী দুর্নীতি ও লুটপাট হয়েছে। এখন শহরে ২/৩ ঘন্টা এবং গ্রামঞ্চলে ৫/৬ ঘন্টা লোডশেডিং জনজীবনকে অতিষ্ঠ করে তুলেছে। শিল্পে ও কৃষিতে উতপাদন ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।”
‘‘ সামগ্রিকভাবে অর্থনীতির ওপর চরম বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিচ্ছে। জ্বালানি সরবারহ নিশ্চিত না করেই বিদ্যুত উতপাদনের বিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপন সমস্যাকে জটিলতর করেছে। দেশে গ্যাস উতপাদন বৃদ্ধির কোনো উদ্যোগ না নিয়ে বিদেশ থেকে গ্যাস আমদানির লক্ষ্যই হচ্ছে চুরি এবং নিজস্ব দলের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে নিজেদের দুর্নীতি ও অনৈতিক সম্পদের পাহাড় গড়ে তোলা। নিয়েশুধুমাত্র লোভের কারণে আজকে বিদ্যুত ও জ্বালানি খাতকে অন্ধকারের পথে নিয়ে গিয়েছে সরকার।”