ওয়াসীম আকরাম, লেবানন থেকে: লেবাননের রাজধানী বৈরুতে বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যার্থে বাংলাদেশ সরকারের মানবিক সহায়তা লেবাননে এসে পৌঁছেছে।
সোমবার স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর পরিবহন বিমান সহায়তা সামগ্রী নিয়ে রফিক হারিরি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে অবতরণ করে।
লেবাননের এ দুঃসময়ে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার বাংলাদেশের জনগণের পক্ষে লেবাননের জনগণের জন্য মানবিক সহায়তা পাঠায়।
৯ টন খাদ্যসামগ্রী, ২ টন ওষুধ ও ওষুধ সামগ্রীসহ বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি পরিবহন বিমান বৈরুতের রফিক হারিরি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। বিমানে ছিলেন বাংলাদেশ নৌবাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন কর্মকর্তা ও বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর ১২ জন ক্রু।
লেবাননের বাংলাদেশ দূতাবাসের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, লেবাননে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আল মুস্তাহিদুর রহমান পিএসসি লেবানন সরকারের মনোনীত স্থানীয় প্রতিনিধির কাছে বাংলাদেশ সরকারের উক্ত মানবিক সহায়তা সামগ্রী হস্তান্তর করেন।
এ সময় প্রথম সচিব (শ্রম) দূতালয়প্রধান আব্দুল্লাহ আল মামুন, তৃতীয় সচিব আব্দুল্লাহ আল সাফি, লেবাননের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, ইউনিফিলের কর্মকর্তা ও বৈরুত বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
৪ আগস্ট আনুমানিক বিকাল ৬টার দিকে লেবাননের রাজধানী বৈরুতে দুটি শক্তিশালী বিস্ফোরণ ঘটে। এতে বৈরুত পোর্টসহ বৈরুত এবং এর দশ কিমি. পরিসীমায় ব্যাপক ক্ষতিসাধিত হয়। বিস্ফোরণে ২০০ জনের বেশি নিহত হন এবং ছয় হাজারের অধিক লোক আহত হন। এছাড়া গৃহহারা হন প্রায় তিন লক্ষাধিক লোক।
লেবাননের জলসীমায় ইউনিফিলের (UNIFIL) অধীনে পাহারারত বাংলাদেশ নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ বিএনএস বিজয় ওই সময় বিস্ফোরণে আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং জাহাজে থাকা বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ২১ জন কর্মকর্তা ও নাবিক আহত হন। এছাড়া বিস্ফোরণে লেবানন প্রবাসী পাঁচ বাংলাদেশি নিহত হন এবং শতাধিক আহত হন।
দূতাবাসের সহযোগিতায় আহতদের চিকিৎসা দেয়া হয় এবং নিহতদের লাশ যত দ্রুত সম্ভব স্বজনের কাছে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান আব্দুল্লাহ আল মামুন।
উৎসঃ যুগান্তর