ভারতে করোনায় একদিনে রেকর্ড ৩ হাজার ২৮৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে প্রাণহানি ছাড়িয়েছে দুই লাখ। একদিনে সর্বোচ্চ শনাক্ত ৩ লাখ ৬২ হাজারের বেশি। শ্মশানে জায়গা নেই, তাই সড়ক-পার্কেই জ্বলছে চিতার আগুন।
লাশের গন্ধ আর চিতার আগুনে ভারী, ভারতের বাতাস। দৈনিক হাজারো মৃত্যুতে শ্মশানগুলোতে নেই তিল ধারণের ঠাঁই। উপায়ন্তর না দেখে শ্মশানজুড়ে তৈরি হচ্ছে অস্থায়ী সব চিতা। লোক সংকটে গ্যারেজ, রাস্তা কিংবা পার্কে স্বজনরাই হাতে তুলে নিচ্ছে, প্রিয়জনকে দাহ করা কাজ।
একজন বলছেন, ‘কখনো ভাবিনি এমন দৃশ্যও দেখতে হবে। জায়গা না পেয়ে রাস্তাতেই মরদেহ পোড়াতে বাধ্য হচ্ছে মানুষ।’ সরকার বলছে দিল্লিতে একদিনে ৩৮০ জন মারা গেছে। তবে এসব তথ্য একদমই ভুল। একদিনে অন্তত ১ হাজার মানুষের মৃত্যু হচ্ছে দিল্লিতে।
গেলো এক সপ্তাহেই ভারতে করোনা কেড়ে নিয়েছে ১৮ হাজার প্রাণ। অক্সিজেন আর চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুর প্রহর গুনছে, আরো হাজারো মানুষ। গতকাল আক্রান্ত আর মৃত্যু কিছুটা কমলেও ফের উর্ধ্বগতিতে বাড়ছে দুইটির সংখ্যাই।
এতো সংকটের মাঝেও প্রয়োজনীয় অক্সিজেন আর ঔষধের বাজারে হুমকি হয়ে দাড়িয়েছে, কালো বাজারিরা। যেখানে ৭ হাজার টাকার সিলিন্ডারের দাম নেয়া হচ্ছে ৮৫ হাজার টাকা। আর ১ হাজার টাকার রেমডেসিভিরের দাম হাকানো হচ্ছে ২৭ হাজার টাকা। ভুক্তভোগীদের দাবি সরকারের অব্যবস্থাপনাতেই মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে এসব কালো বাজারিরা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে অধিক সংক্রামক ভ্যারিয়েন্ট, কম টিকাদান আর বড় জমায়েতের কারণেই এমন পরিস্থিতিতে পড়েছে ভারত। এছাড়া অপ্রয়োজনে হাসপাতালে যাতায়াত পরিস্থিতি আরও বিপজ্জনক করে তুলেছে বলে মত সংস্থাটির।
শঙ্কার কথা, এরইমধ্যে ভারতের এই ধরন ছড়িয়ে পড়েছে ১৭ দেশে। যুক্তরাজ্য, সিঙ্গাপুর, জার্মানি, অস্ট্রেলিয়াসহ একাধিক দেশে এই ধরন বিস্তার লাভ করছে বলে জানায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এভাবে চলতে থাকলে বিশ্ব করোনা পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রূপ নিতে পারে বলে দাবি সংস্থাটির।