২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবরের লগি বৈঠার আন্দোলনে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র কাজ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
শনিবার (৩০ অক্টোবর) বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের তৃতীয় তলায় মাওলানা মোহাম্মদ আকরাম খাঁ হলে নাগরিক ফোরাম আয়োজিত ‘মানবাধিকার ও আইনের শাসন: প্রেক্ষিত ২৮ অক্টোবর’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এমন মন্তব্য করেন।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘লগি বৈঠার আন্দোলনের দিন মানবাধিকারের কবর রচিত হয়েছিল। সেদিন গণতন্ত্রকেও আঘাত করেছিল। বর্বরোচিতভাবে হত্যা করেছিল।’
তিনি বলেন, ‘সেদিন বর্বরোচিতভাবে মানুষকে হত্যা করা হয়েছিল। তারা পরিবর্তন আনতে চেয়েছে যা মানুষ পছন্দ করেনি। তারপর ১/১১ এর সরকার আসলো। সেসময় অনেককে আটক করেছিল। রাজনীতিতে শুদ্ধাচার করার নাম দিয়ে তা করা হলো। সেদিন দেশি-বিদেশি নানা ষড়যন্ত্র কাজ করেছে। তাই সরকারের নানা জায়গায় নিয়ন্ত্রণ হারাতে হয়েছে।’
বিএনপির এই জ্যেষ্ট নেতা আরও বলেন, ‘১/১১ এর সরকার নাকি আওয়ামী লীগের আন্দোলনের ফসল। দুই নেত্রীর সঙ্গে তখনকার সরকার আলোচনা করেছে। আমাদের নেত্রী (খালেদা জিয়া) তাদের বিদেশে যাওয়া ও অন্যায়ের সমর্থন করেনি। আওয়ামী লীগ তাদের শর্ত মেনে নিয়ে তাদের অন্যায় ও বিদেশে যাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে। তাই তাদের স্বার্থে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় নিয়ে আসলেন।’
আলোচনা সভায় নাগরিক ফোরামের চেয়ারম্যান আবদুল্লাহিল মাসুদের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বিএনপি চেয়ারপারেসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান বিশ্বাস, বিএনপির সহ-প্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, সুপ্রীম কোর্টের অ্যাডভোকেট সাইফুর রহমান, নাগরিক ফোরামের নির্বাহী চেয়ারম্যান নেসার মাহমেদ নান্নু, নাগরিক ফোরামের সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট পারভেজ হোসেন, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ প্রমুখ।