
লক্ষ্মীপুর-২ আসনে (রায়পুর ও সদরের একাংশ) আওয়ামী লীগ মনোনীত অ্যাডভোকেট নুরউদ্দিন চৌধুরী নয়ন বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ১ লাখ ২০ হাজার ৬৮৯ ভোট বেশি পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
কাজী শহিদ ইসলাম পাপুল দণ্ডিত হওয়ায় লক্ষ্মীপুর-২ আসন শূন্য ঘোষণা করা হয়। সোমবার সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়; একটানা চলে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।
নির্বাচনে অ্যাডভোকেট নুরউদ্দিন চৌধুরী নয়ন পেয়েছেন ১ লাখ ২২ হাজার ৫৫৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির প্রার্থী শেখ মো. ফায়িজ উল্যা শিপন পেয়েছেন ১ হাজার ৮৬৮ ভোট। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা দুলাল তালুকদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে সকাল পৌনে ৭টার দিকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি মাথায় নিয়ে ভোটাররা কেন্দ্রে উপস্থিত হন।
এদিকে ঘাঁটি হলেও নির্বাচনে অংশ নেয়নি বিএনপি। আওয়ামী লীগের অ্যাডভোকেট নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়নের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী শেখ মো. ফায়িজ উল্যা শিপন।
কেন্দ্রে নিরাপত্তায় র্যাব, পুলিশ, বিজিবি ও আনসারের প্রায় ৫০ হাজার সদস্য মাঠে নামানো হয়েছে। এ ছাড়া রয়েছেন জুডিশিয়াল ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
এদিকে ইসি জানিয়েছে, কুয়েতের আদালতে কাজী শহিদ ইসলাম পাপুল দণ্ডিত হওয়ায় লক্ষ্মীপুর-২ আসন শূন্য ঘোষণা করা হয়।
১৯ ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত এ আসনে ভোটার সংখ্যা চার লাখ দুই ৯২৩ জন। কেন্দ্র ছিল ১৩৬ এবং ভোটকক্ষ ৯৭৯টি। এ আসনের নির্বাচনে সাধারণ ভোটকেন্দ্রের পাহারায় ১৭-৮ জন এবং ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে ১৮-১৯ জন মোতায়েন ছিল।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় এই আসনে পুলিশের ২০টি মোবাইল ও ১০টি স্ট্রাইকিং ফোর্স, র্যাব ১০টি টিম ও বিজিবির ১০ প্লাটুন সদস্য মাঠে ছিল। এ ছাড়া ২২ জন নির্বাহী ও দুজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটও নিয়োগ দেওয়া হয়। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) এ আসনে ভোটগ্রহণ করা হয়।