থামছে না লক্ষ্মীপুরে যানবাহনে বেপরোয়া চাঁদাবাজি। সড়ক-মহাসড়কে ইজারা আর পৌর টোলের নাম ভাঙিয়ে আদায় করা হচ্ছে নির্ধারিত অংকের টাকা। চাঁদা না দিলে নানাভাবে হয়রানি করার অভিযোগও পাওয়া গেছে। পরিবহন শ্রমিক ও স্থানীয়দের অভিযোগ, ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা এতে জড়িত। কিন্তু প্রশাসনের দাবি, চাঁদাবাজি ঠেকাতে তারা তৎপর রয়েছেন।
লক্ষ্মীপুর-ভোলা আঞ্চলিক মহাসড়কের কাচারীবাড়ি মোড়ে প্রকাশ্যে ট্রাক থামিয়ে চলছে চাঁদা আদায়। একই মহাসড়কের মজুচৌধুরীর হাট এলাকায়ও ট্রাক থেকে চাঁদা আদায় হয় নিয়মিত। শুধু লক্ষ্মীপুর-ভোলা আঞ্চলিক মহাসড়কই নয়, জেলার বিভিন্ন সড়ক, বাজারের মোড়ে পণ্যবাহী ট্রাক থেকে নির্ধারিত হারে আদায় করা হয় টাকা। চাঁদাবাজির শিকার সিএনজি অটোরিকশা ও ইজিবাইক চালকরাও। এই জাল ছড়িয়েছে ইউনিয়ন পর্যন্ত।
পরিবহন মালিক-শ্রমিক ও স্থানীয়দের অভিযোগ, সড়কে চাঁদাবাজির সাথে জড়িত ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা। কোথাও ইজারা, কোথাও আবার পৌর টোলের নামে আদায় করা হচ্ছে টাকা। তবে ইজারার নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সদর উপজেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক মামুন পাটওয়ারী।
লক্ষ্মীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) পলাশ কান্তি নাথ বলেন, দুর্বৃত্তরা তো চাইবেই অবৈধ পথে আয় রোজগার করতে। কিন্তু আমরা তৎপর আছি। আমরা যখনই কোথাও চাঁদাবাজির খবর পাচ্ছি, সেখানেই ব্যবস্থা গ্রহণের চেষ্টা করছি।
বেপরোয়া চাঁদাবাজিতে ক্ষোভ জানিয়েছেন পরিবহন শ্রমিক ও স্থানীয়রা। তবে দলের নেতাকর্মীদের কেউ সড়কে চাঁদাবাজিতে জড়িত থাকলে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নুরউদ্দিন চৌধুরী নয়ন।