রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে কক্সবাজারের উখিয়ায় পৌঁছেছে যুক্তরাষ্ট্রের বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়ার নেতৃত্বে একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল।
তার সফরসঙ্গী হিসেবে সঙ্গে আছেন দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু ও যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (ইউএসএআইডি) এশিয়া দপ্তরের উপসহকারী প্রশাসক অঞ্জলি কৌর।
বুধবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে উখিয়ার ৯নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পৌঁছায় জেয়া ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী গাড়িবহর।
সেখানে পৌঁছেই প্রথমে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) রেজিস্ট্রেশন সেন্টার পরিদর্শন করেন তারা।
পরে তাদের ক্যাম্প এলাকায় জাতিসংঘসহ যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়নে পরিচালিত বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার চলমান কার্যক্রম পরিদর্শনের কথা।
এ ছাড়া কমিউনিটি নেতা, ইমাম, যুবকসহ রোহিঙ্গা প্রতিনিধিদলের সঙ্গে মতবিনিময়ে অংশ নেবেন জেয়া ও তার সফরসঙ্গীরা।
ক্যাম্প এলাকা পরিদর্শনের পর কক্সবাজারের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয়ে একটি বৈঠক অংশ নেবে যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চপর্যায়ের এই প্রতিনিধিদল।
রোহিঙ্গা নেতা মোহাম্মদ আমিন বলেন, ক্যাম্পের পরিস্থিতি আমাদের ভাবিয়ে তুলছে। যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশকে জানাতে চাই, আমরা মর্যাদা নিয়েই দ্রুত দেশে ফিরতে চাই।
এই সফর ঘিরে ক্যাম্প এলাকাজুড়ে গোয়েন্দা নজরদারিসহ জোরদার করা হয়েছে কড়া নিরাপত্তা। প্রতিটি ক্যাম্পের প্রবেশমুখে চলছে তল্লাশি, সতর্ক অবস্থানে আছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
৮ এপিবিএনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (মিডিয়া) ফারুক আহমেদ বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদলের এই সফর কেন্দ্র করে ক্যাম্পজুড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে নেওয়া হয়েছে বাড়তি সতর্কতা।
গত ৫ জুলাই (বুধবার), আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের প্রধান কৌঁসুলি করিম এ এ খান রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনের মধ্যেই এবাদুল্লাহ নামে এক রোহিঙ্গা কমিউনিটি নেতাকে (মাঝি) হত্যা করা হয়। এর দুদিন পর ৮ জুলাই (শুক্রবার) রোহিঙ্গাদের দুই সশস্ত্র সংগঠন আরএসও ও আরসার মধ্যে সংঘর্ষে মারা যায় ৫ জন।