![InShot_20240126_220315373](https://banglaexpressonline.com/wp-content/uploads/2024/01/InShot_20240126_220315373.jpg)
শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় ৬ মাসের সাজার রায় বাতিল চেয়ে আপিল করবেন শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সাজা থেকে খালাস পেতে তোলে ধরা হবে ২৫ যুক্তি।
রোববার (২৮ জানুয়ারি) শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে আপিল করবেন তিনি। একইসঙ্গে জামিনও চাইবেন। তার আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
প্রসঙ্গত, শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় গত ১ জানুয়ারি ৬ মাসের সাজা হয় ড. ইউনূসসহ গ্রামীণ টেলিকমের ৪ জনের। তবে ৩০ দিনের মধ্যে আপিলের শর্তে জামিন পান তারা। সেই সময়সীমার মেয়াদ শেষ হবে ৩১ জানুয়ারি।
উল্লেখ্য, রায় ঘোষণার সময় ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের বিচারক বেগম শেখ মেরিনা সুলতানা মামলাটির বিস্তারিত প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন। বলেন, ২০২০ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি কলকারখানা অধিদফতরের পরিদর্শক গ্রামীণ টেলিকম পরিদর্শনে গিয়ে শ্রম আইনের লঙ্ঘন দেখতে পান। পরে তা সংশোধনের জন্য বিবাদীপক্ষকে ওই বছরের ১ মার্চ চিঠি দেয়া হয়। কিন্তু বিভিন্ন সংশোধনের পর গ্রামীণ টেলিকমের পক্ষ থেকে এর জবাবে ৯ মার্চ যে চিঠি দেয়া হয়েছিল, তা সন্তোষজনক ছিল না।
২০২১ সালের ১ সেপ্টেম্বর শ্রম ট্রাইব্যুনালে ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলাটি করে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতর। গত বছরের ৬ জুন মামলার অভিযোগ গঠিত হয়। ২২ আগস্ট সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়, যা শেষ হয় ৯ নভেম্বর। গত ২৪ ডিসেম্বর যুক্তিতর্ক শুনানি শেষ হয়।
মামলায় অভিযোগ আনা হয়, শ্রম আইন ২০০৬ ও শ্রম বিধিমালা ২০১৫ অনুযায়ী, গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক বা কর্মচারীদের শিক্ষানবিশকাল পার হলেও তাদের নিয়োগ স্থায়ী করা হয়নি। প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিক বা কর্মচারীদের মজুরিসহ বার্ষিক ছুটি, ছুটি নগদায়ন ও ছুটির বিপরীতে নগদ অর্থ দেয়া হয়নি। গ্রামীণ টেলিকমে শ্রমিক অংশগ্রহণ তহবিল ও কল্যাণ তহবিল গঠন করা হয়নি এবং লভ্যাংশের ৫ শতাংশের সমপরিমাণ অর্থ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন আইন অনুযায়ী গঠিত তহবিলে জমা দেয়া হয়নি।