দেশের সব হিফজ মাদ্রাসা খোলার অনুমতি দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। আগামী ১২ জুলাই (রোববার) থেকে শিক্ষা কার্যক্রম চালু করতে পারবে হিফজ মাদরাসাগুলো।
বুধবার ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। দেশের শীর্ষস্থানীয় আলেমদের আবেদনের ভিত্তিতে এই অনুমোদন দেয়া হয়েছে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।
মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মুহা. আবুল কালাম আযাদের স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বৈশ্বিক কোভিড-১৯ (করোনাভাইরাস) এর প্রাদুর্ভাব পরিস্থিতিতে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে হাফিজিয়া মাদ্রাসা এবং হিফজখানার কার্যক্রমও বন্ধ রয়েছে।
হাফিজিয়া মাদ্রাসা এবং হিফজখানার শিক্ষা কার্যক্রমে নিরবচ্ছিন্ন অধ্যাবসায়ের আবশ্যকতার কথা উল্লেখ করে এর কার্যক্রম চালু করার বিষয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে দেশের শীর্ষস্থানীয় ওলামায়ে কেরামের পক্ষ হতে আবেদন করা হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, বর্তমান প্রেক্ষাপটে সার্বিক অবস্থা পর্যালোচনা করে আবেদনের বিষয়টি যথাযথভাবে বিবেচনা করে শুধুমাত্র হাফিজিয়া মাদ্রাসা/হিফজখানার কার্যক্রম আগামী ১২ জুলাই থেকে চালু করার অনুমতি প্রদান করা হল।
প্রসঙ্গত, ঈদুল ফিতরের পর থেকেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে কওমি মাদ্রাসা খুলে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন আলেমরা। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় এতদিন সে অনুমতি পাওয়া যায় নি। ছাত্র-ছাত্রী ভর্তির সুবিধার্থে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কওমি মাদ্রাসার অফিস খোলার অনুমতি দেয়া হয়েছিল।
গত কয়েকদিন আগে এ বিষয়ে জাতীয় দ্বীনি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের একটি প্রতিনিধি দল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত করেন। এ সময় আসন্ন কোরবানির ঈদের আগেই সীমিত পরিসরে হলেও কওমি মাদ্রাসা খোলার আবেদন জানান তারা।
জাতীয় দ্বীনি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের সহ-সভাপতি ড. মাওলানা মুশতাকের নেতৃত্বে ওই প্রতিনিধি দলে ছিলেন মাওলানা ইয়াহয়া মাহমুদ, বোর্ডের মহাসচিব মুফতি মোহাম্মদ আলী ও মাওলানা মুজিবুর রহমান।
সে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দেশের হিফজ মাদ্রাসাগুলো খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।