May 19, 2024, 10:28 am
সর্বশেষ:
রামপালে ৬৩০ জন রোগী পেল বিনামূল্যে ছানি অপারেশনের সুযোগ  চাল বিতরণে অনিয়মের দায়ে ইউপি সদস্য বরখাস্ত মোরেলগঞ্জের পোলেরহাট বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকান্ড, ১৩ দোকান পুড়ে ছাই মৌলভীবাজারে নদী রক্ষার বাঁধ নির্মাণে দীর্ঘসূত্রতা ৬ তারিখে বাজেট দেবো, বাস্তবায়নও করবো: প্রধানমন্ত্রী বেনাপোলে দোয়াত কলম প্রতীকের নির্বাচনী গণসমাবেশ দেশজুড়ে আজ থেকে ‘নো হেলমেট, নো ফুয়েল’ কার্যকর বিমানের সাবেক এমডিসহ ১৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশিট সরকারের জলবায়ু সংক্রান্ত পদক্ষেপ দরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ঝুঁকি হ্রাস করেছে : প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের আড়াই বছর পর বিজয়ী হলেন পরাজিত প্রার্থী

রেমিট্যান্স বৃদ্ধিতে রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী প্রতিষ্ঠানের সুযোগ সুবিধা বাড়াতে প্রস্তাব

  • Last update: Friday, August 19, 2022

বাংলা এক্সপ্রেস প্রতিনিধিঃ সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের আয়োজনে ‘বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটে প্রবাসীদের ভাবনা ও করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) রাতে আল হারামাইন পারফিউমসের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা রেমিট্যান্স ও রিজার্ভ বৃদ্ধিতে সরকারের করণীয় এবং রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী প্রতিষ্ঠান বিশেষ করে বিমানবন্দর, মিশন ও ব্যাংকগুলোতে প্রবাসীদের সুযোগ সুবিধা বাড়াতে ১৩টি গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ তুলে ধরেন। দেশ থেকে টাকা পাচার বন্ধ হলে, হুন্ডিতে দেশে টাকা পাঠানো স্বাভাবিকভাবেই বন্ধ হবে বলেই আলোচনায় উঠে আসে।

গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল বিএম জামাল হোসেন। এতে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অবস্থা, রেমিট্যান্স প্রবাহ, ব্যবহার ও বৃদ্ধির উপায় এবং বাংলাদেশ ও আমিরাতের মধ্যে বিনিয়োগের চিত্র তুলে ধরে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন কনস্যুলেটের কর্মাশিয়াল কাউন্সেলর কামরুল হাসান।

বাংলাদেশ প্রেসক্লাব সভাপতি শিবলী আল সাদিকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান জনির পরিচালনায় মূল আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন দ্য ডেইলি স্টার নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল হক, এনআরবি ব্যাংক ও আল হারামাইন গ্রুপের চেয়ারম্যান মাহতাবুর রহমান সিআইপি, বিমান বাংলাদেশ এয়ালাইন্সের দুবাইস্থ রিজিওনাল ম্যানেজার সাকিয়া সুলতানা, জনতা ব্যাংক দুবাই শাখার ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল মালেক, জনতা ব্যাংক শারজাহ শাখার ব্যবস্থাপনা পরিচালক শওকত আকবর ভূঁইয়া, বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল দুবাইয়ের সিনিয়র সহ সভাপতি আইয়ুব আলী বাবুল সিআইপি, কমিউনিটি নেতা নওশের আলী, আমাদের সময়-এর সিনিয়র রিপোর্টার গোলাম সাত্তার রনি, সিনিয়র রিপোর্টার আরিফুজ্জামান মামুন, সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা মহিউদ্দিন জামান।

বক্তারা দীর্ঘ আলোচনায় রেমিট্যান্সের প্রবৃদ্ধি বাড়াতে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরেন। পাশাপাশি রাষ্ট্রায়ত্ব জনতা ব্যাংক ও বাংলাদেশ বিমানের সেবা অন্যান্য সংস্থার সেবার সঙ্গে সামঞ্জস্যতা তৈরি করতে বিভিন্ন প্রস্তাব করেন। এ ছাড়া সরাসরি বৈধ পথে প্রবাসীদের রেমিট্যান্স বাড়াতে ব্যাংক চার্জ মওকুফ, মোবাইল অ্যাপ তৈরি, চলমান রেমিট্যান্স প্রণোদনা ৪ শতাংশে উন্নীত করণ, বন্ডের লভ্যাংশ বৃদ্ধি করা, বিদেশে কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালুর উদ্যোগ নেয়া, শ্রমিকদের দক্ষতা বাড়াতে সহায়তা প্রদান, প্রশিক্ষিত ও যোগ্যতা সম্পন্ন শ্রমিকদের বিদেশে প্রেরণ, দেশ থেকে আমদানীকৃত পণ্য পুনঃরপ্তানির সুযোগ তৈরি করা, হুন্ডি প্রতিরোধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ ও জড়িতদের চিহ্নিতকরণ, দেশের বাইরের জনতা ব্যাংকের ঋণ খেলাপিদের ঋণ পরিশোধ, প্রবাসীদের জন্য পেনশন ব্যবস্থা চালু ও ক্যাপিটাল মার্কেট তৈরির বিষয়ে সুপারিশ প্রস্তাব করেন বক্তারা।

বিএম জামাল হোসেন বলেন, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকট নিয়ে এই গোলটেবিল আলোচনা অত্যন্ত সময়োপযোগী একটি উদ্যোগ। এই যে বৈশ্বিক সংকট, এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ এখন যে সংকটে আছে এটাকে বিভিন্নজন বিভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করছে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে এই সংকটের প্রভাবে শুধু বাংলাদেশ না, গোটা পৃথিবী এখন শঙ্কিত। চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে সৃষ্ট বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটের অ্যানালাইসিস আসছে। তাতে দেখা গেছে, দু’টো দেশ অত্যন্ত লাভবান হচ্ছে। তারা হলো- আমেরিকা ও রাশিয়া।

সৈয়দ আশফাকুল হক বলেন, রিজার্ভ একটি দেশের অর্থনৈতিক নিরাপত্তার চাবিকাঠি। যা নিশ্চিত করার দায়িত্ব সরকারের। রেমিট্যান্স ইনফ্ল নিয়ে কিছু কথা আসছে। আমি বলবো- সমস্যা থাকবেই, সমাধান হয়না বলেই সমস্যা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। যুগের পরিবর্তন হচ্ছে, যুগের সঙ্গে তাল না মেলাতে পারলে ছিটকে পড়তে হবে। প্রবাসে নিযুক্ত মিশন তথা অ্যাম্বাসিগুলোতে যারা কর্মরত আছেন তাদেরকেও অনেক নিয়মকানুন আর সীমাবদ্ধতার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। তবুও আপনাদেও ছোট্ট একটি উদ্যোগ দেশের জন্য অনেক বড় ভূমিকা রাখতে পারে। দেশের মানুষকে অনুপ্রাণিত করতে পারে।

মাহতাবুর রহমান নাসির বলেন, দেশের নানান সংকটে প্রবাসীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। এ ক্ষেত্রে প্রবাসীদের অনেকগুলো দাবির মধ্যে অন্যতম রেমিট্যান্স প্রণোদনার পরিমাণ ২.৫% থেকে বাড়িয়ে যেন ৪% করা হয়। যেখানে সরকার পথ্য রপ্তানি, কাঁচামাল আমদানি থেকে শুরু করে শিল্পখাতে ১৫-২০-২৫% পর্যন্ত প্রণোদনা দিচ্ছে। অথচ সেখানে কত অনিয়ম দুর্নীতি হয় তা বলে শেষ করা যাবে না। সেক্ষেত্রে প্রবাসীরা বৈধ অর্থ প্রেরণে ২.৫% থেকে ৪% প্রণোদনা চাওয়া যৌক্তিক দাবি বলে মনে করি। যা বাস্তবায়ন করা হলে অচীরেই হুন্ডীর পিঠে কষাঘাত করা সম্ভব হবে।

গোলটেবিল আলোচনায় আরো অংশগ্রহণ স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের আইটি ম্যানেজার মফিজুল রহমান পিংকু, প্রকৌশলী এস এ মোরশেদ, প্রকৌশলী নেসার রেজা খান, ব্যবসায়ী নাদিয়া নিপা খান, এ কে আজাদ, সংগঠক কাজী মোহাম্মদ আলী, আনসারুল হক, বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ সভাপতি মামুনুর রশীদ, যুগ্ম সম্পাদক মোদাচ্ছের শাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল্লাহ আল শাহীন, প্রচার সম্পাদক শাহজাহান, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক ইসতিয়াক আসিফ। এসময় অন্যান্যের মাঝে প্রেসক্লাব সদস্য ওসমান চৌধুরী, নওশের আলম সুমন, জাসেদুল ইসলাম, এস এম শাফায়েত ও মোহাম্মদ নিয়াজ উপস্থিত ছিলেন।

Drop your comments:

Please Share This Post in Your Social Media

আরও বাংলা এক্সপ্রেস সংবাদঃ
© 2023 | Bangla Express Media | All Rights Reserved
With ❤ by Tech Baksho LLC