আহাম্মদ সগীর, চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধ: চলতি মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়। সোমবার বেলা ৩টার সময় এ জেলায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এসময় বাতাসের আদ্রতা ছিল ১৩ শতাংশ। এর আগে গত শুক্রবার চুয়াডাঙ্গা জেলায় দেশের তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া চলতি মৌসুমে এ জেলায় একাধিকবার রেকর্ড করা হয়েছে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। অতি তীব্র তাপপ্রবাহে জেলার বিভিন্ন সড়কের পিচ গলে যেতে দেখা গিয়েছে। দাবদাহ থেকে বাঁচতে অনেককেই দেখা গিয়েছে নদীনালা, বিল-বাওড় ও পুকরের পানিতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে গোসল করতে। এদিকে বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোগে জেলার বিভিন্ন স্থানে অব্যাহত রয়েছে তৃষ্ণার্ত মানুষের মাঝে খাবার স্যালাইন মিশ্রিত পানি ও লেবুর শরবত বিতরণ।
দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের বৃহত্তর চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার ডুগডুগি পশুহাটের গরুর ব্যাপারী সদরপাড়া গ্রামের রহিম বলেন, ‘তীব্র রোদ-গরমে পাওয়ার ট্রিলারযোগে হাটে গরু নিয়ে আসতে অনেক কষ্ট হয়েছে। মনে হচ্ছে সড়ক থেকে কেউ আগুনের গোলা মুখের দিকে ছুড়ে মারছে। হাটে পৌঁছানোর পরেও শান্তি নাই। একে তীব্র রোদ-গরম অপরদিকে মানুষের চাপে হাটের মধ্যে থাকাটা খুবই কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে। তারপরেও কিছুই করার নাই। আল্লাহতায়ালার রহমতের বৃষ্টি ছাড়া এ গরম থেকে রেহাই পাওয়া যাবে না।’ একই কথা বলেন হাটের অন্যান্য ব্যাপারীরা। স্থানীয় সংবাদকর্মী সম্রাট হোসেন বলেন, ‘দিনের বেলা সড়ক দিয়ে মোটরসাইকেল চালানোর কোনো উপায় নাই। হাত-পা, মুুখ একেবারে ঝলসে যাওয়ার মতো অবস্থা। সড়কের দুধারে যেখানে গাছ আছে সেখানে উত্তাপ একটু কম হলেও যেখানে গাছ নাই সেই স্থান দিয়ে যাতায়াত করলে মনে হচ্ছে আগুনের উপর দিয়ে যাচ্ছি। আমাদের সকলের উচিত সামনের বর্ষা মৌসুমে অন্তত একটি করে গাছের চারা রোপণ করা এবং সেই গাছের যত্ন করা।’ উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ২১মে চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪৩ দশমকি ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা গত এক দশকে এ জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।
এছাড়া ২০০৫ সালের ২রা জুন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ আরও কিছুদিন অব্যাহত থাকলে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে এ জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রার নতুন রেকর্ড তৈরি হবে।