
ইউক্রেনে নিহত হয়েছেন ‘দ্য নিউইয়র্ক টাইমস’-এর সাবেক এক সাংবাদিক। রাশিয়ার সেনাবাহিনীর হামলায় জখম হয়েছেন আরও এক সংবাদকর্মী। এমনটাই দাবি করেছেন কিয়েভ প্রদেশের পুলিশপ্রধান আন্দ্রেই নেবিতোভ।
ইউক্রেনের সংবাদ সংস্থা ‘ইন্টারফ্যাক্স-ইউক্রেন’-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে মার্কিন সাংবাদিকের মৃত্যুর খবর প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে স্পষ্ট বলা হয়েছে, কিয়েভের ইরপিনে রুশ ফৌজের হামলায় মৃত্যু হয়েছে ‘দ্য নিউইয়র্ক টাইমস’-এর সাবেকসাংবাদিক ব্রেন্ট রেনডের। এই বিষয়ে নিজের ফেসবুক পোস্টে নিহত সাংবাদিকের পরিচয়পত্র ও পাসপোর্টের ছবি প্রকাশ করেছেন কিয়েভ প্রদেশের পুলিশপ্রধান আন্দ্রেই নেবিতোভ।
নিজের বার্তায় তিনি লেখেন, রুশ সেনা এবার আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের ওপর হামলা চালাচ্ছে। ইউক্রেনে রাশিয়া অত্যাচারের ছবি তুলে ধরায় সংবাদকর্মীদের হত্যা করা হচ্ছে। আজ ইরপিনে ‘দ্য নিউইয়র্ক টাইমস’-এর ৫১ বছর বয়সী সাংবাদিককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও একজন।
এই বিষয়ে এক বিবৃতি প্রকাশ করে নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, ব্রেন্ট রেনড ইউক্রেনেই মারা গিয়েছেন। কিন্তু তিনি তাদের হয়ে অ্যাসাইনমেন্টে ছিলেন না। ২০১৫ সালে টাইমসের হয়ে শেষবার কাজ করেছিলেন রেনড।
এদিকে, ১৮ দিন ধরে যুদ্ধ চললেও কিয়েভ দখল করতে পারেনি রুশ বাহিনী। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, এই কদিনে ১ লাখ ২৫ হাজার মানুষকে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে সরিয়ে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
রুশ সামরিক অভিযানের হাত থেকে বাঁচতে প্রতিদিনই ইউক্রেন ছেড়ে পালাচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ। জাতিসংঘের তথ্য বলছে, অভিযান শুরুর পর এ পর্যন্ত ২৫ লাখের বেশি মানুষ প্রতিবেশী দেশ পোল্যান্ড ও রোমানিয়াসহ বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নিয়েছেন।