রাজধানীর উত্তরায় নির্মাণাধীন বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের গার্ডার চাপায় নিহত রুবেলের মরদেহ নিতে মর্গে এসেছেন ৭ নারী। তারা প্রত্যেকেই দাবি করছেন, রুবেল তার স্বামী।
মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) মর্গের সামনে গিয়ে এ চিত্র দেখা যায়, সেখানে আত্মীয়-স্বজনেরা ভিড় করছেন। অনেকেই কান্নাকাটি করছেন।
অসমর্থিত সূত্র বলছে, রুবেলের স্ত্রী সংখ্যা ৮ জন। তার মধ্যে ৭ জন মর্গে এসেছেন মরদেহ নিতে।
দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে ফেরা হৃদয়ের বাবা নিহত রুবেলের স্ত্রী হিসেবে দাবি করেছেন এখন পর্যন্ত ৭ জন।
রুবেলের প্রথম স্ত্রী মৃত। দ্বিতীয় স্ত্রীর নাম নার্গিস বেগম। তার একটি কন্যা সন্তান রয়েছে যার নাম নিপা।
তৃতীয় স্ত্রী রেহানার ছেলে দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে ফেরা হৃদয়। চতুর্থ স্ত্রী সাহিদাও সন্তানসহ এসেছেন মর্গে। পঞ্চম স্ত্রী পারভিন পুষ্প গণমাধ্যমের সাথে কথা বলতে চাননি।
এছাড়াও খন্দকার বিউটি বেগম এবং সালমা আক্তার পুতুল নিহতের কত নং স্ত্রী তা নিশ্চিত নয়।
এর মধ্যে সালমা আক্তার পুতুল এই দুর্ঘটনার আগেই প্রতারণার মামলা করেছিলেন তার স্বামীর নামে
এ বিষয়ে পুলিশ কিংবা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোনো বক্তব্য এখনও পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত, সোমবার (১৫ আগস্ট) বিকেলে উত্তরা জসীম উদ্দীন এলাকায় আড়ংয়ের সামনে ক্রেন দিয়ে একটি গার্ডার ওপরে ওঠানো হচ্ছিল। এ সময় ক্রেন উল্টে সেটি প্রাইভেটকারের ওপর পড়ে। গার্ডার পড়ে প্রাইভেটকারটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এতে প্রাইভেট কারের ভেতরে থাকা সাত জনের মধ্যে পাঁচজন নিহত হয়।
নিহতরা হলেন- রুবেল (৬০), ফাহিমা (৪০), ঝরনা (২৮), জান্নাত (৬) ও জাকারিয়া (২)।