রাশিয়ার তৈরি টিকা তৃতীয় ধাপ পরীক্ষার আগেই প্রথম দুই ধাপের ট্রায়ালের ফলাফলকে ‘নিরাপদ ও কার্যকরী’ বলে মন্তব্য করেছে আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্যবিষয়ক গবেষণা সাময়িকী দ্য ল্যানসেট।
‘স্পুটনিক ভি’ টিকাটির অনুমোদনের সময় রাশিয়া একে শতভাগ নিরাপদ বলে দাবি করেছিল। কিন্তু রাশিয়া টিকার কোনো তথ্য প্রকাশ না করায় সমালোচনার মুখে পড়তে হয় দেশটির। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকেও কোনো তথ্য দেয়নি পুতিনের দেশ। তবে প্রথম বারের মতো বিশ্বমানের কোনো জার্নালে তারা বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করল।
একটি টিকার বৈশ্বিক অনুমোদনের জন্য তিন ধাপের ফলাফলকে বিবেচনা করা হয়। এর মধ্যে তৃতীয় ধাপ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এই ধাপের ট্রায়ালে হাজার-হাজার মানুষকে যুক্ত করা হয়। সেই তুলনায় প্রথম দুই ধাপে থাকে হাতেগোনা কয়েকজন। রাশিয়া ইতিমধ্যে তৃতীয় অর্থাৎ চূড়ান্ত ধাপের ট্রায়াল শুরু করেছে।
গত জুন-জুলাইয়ে অনুষ্ঠিত দুটি ট্রায়ালে ৭৬ জন অংশ নিয়েছিলেন। এতে শতভাগ অংশগ্রহণকারীর দেহে নতুন করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি তৈরি হতে দেখা গেছে। এছাড়া টিকা গ্রহণকারীদের মধ্যে গুরুতর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি।
‘স্পুটনিক ভি’তে টি-সেলও উৎপন্ন হয়েছে, যা থেকে মানুষের দীর্ঘ মেয়াদি সুরক্ষা মিলবে। ল্যানসেটের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘৪২ দিনের দুটি ট্রায়ালে অর্ন্তভূক্ত ছিলেন ৩৮ জন স্বাস্থ্যবান প্রাপ্তবয়স্ক-অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে গুরুতর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি এবং টিকায় অ্যান্টিবডি তৈরিতে সাড়া দিতে সক্ষম বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।’
এতে আরও বলা হয়েছে, ‘কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ প্রতিরোধে টিকার কার্যকারিতা ও দীর্ঘমেয়াদি নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠায় প্লাসিবোর (রোগীর মনরক্ষার জন্য দেওয়া ওষুধ) তুলনা ও বৃহদায়তনে দীর্ঘমেয়াদি ট্রায়াল এবং আরও পর্যবেক্ষণ প্রয়োজন।’