পবিত্র রমজানেও ফিলিস্তিনিদের ওপর টানা আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। শুক্রবার (৭ এপ্রিল) গাজায় ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়েছে ইহুদি বাহিনী। প্রতিবেশী লেবাননেও বোমাবর্ষণ করেছে তেল আবিবের সেনারা। জেরুজালেমে নতুন করে সহিংসতা না হলেও, পবিত্র আল আকসা মসজিদকে ঘিরে বিরাজ করছে থমথমে পরিস্থিতি। খবর আলজাজিরার।
শুক্রবার (৭ এপ্রিল) ইসরায়েলি বাহিনীর হামলার পরোয়া না করেই পবিত্র আল আকসায় জুমার নামাজ আদায় করেন ফিলিস্তিনি মুসল্লিরা। টানা তিন দিন ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বরতার পর এদিন কিছুটা শান্ত ছিল সেখানকার পরিস্থিতি। তবে যেকোনো সময় হামলার আশঙ্কা ছিল সবার মাঝে।
আগ্রাসনের শিকার হয়েছে গাজা ও লেবানন। দুই অঞ্চল থেকে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে রকেট ছোঁড়ার কঠোর জবাব দিয়েছে তেল আবিব। শুক্রবার ভোররাতে গাজায় মুহুর্মুহু মিসাইল হামলা চালানো হয়। নেতানিয়াহু প্রশাসনের দাবি, লক্ষ্য ছিলো হামাসের স্থাপনা। যদিও ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছেন বেসামরিকরা।
ভুক্তভোগী এক ফিলিস্তিনি জানান, গাড়ি, ঘরবাড়ি সব কিছু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভাগ্যক্রমে কোনোভাবে প্রাণে বেঁচে গেছি। গাড়ির ভেতরে থাকলে মারাই যেতাম। এটা আবাসিক এলাকা। এখানে কেন হামলা করে ওরা?
গাজার আরেক ভুক্তভোগী জানান, ভোররাতে সেহরি খেতে উঠেই শুনি বোমার আওয়াজ। মেয়েকে কোলে নিয়ে পালানোর চেষ্টা করি। বাচ্চাটা চিৎকার করছিল ভয়ে। চারপাশের সব ভেঙে গেছে।
এদিন, প্রতিবেশী লেবাননেও বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে দেশটির দক্ষিণাঞ্চল।
একই দিন তেল আবিব ও দখলকৃত পশ্চিম তীরেও ঘটে হামলার ঘটনা। শুক্রবার তেল আবিবে এক গাড়িতে হামলায় একজনের মৃত্যু ও পাঁচজন আহত হয়। হতাহতরা ইতালি ও যুক্তরাজ্যের নাগরিক। এছাড়া পুলিশের গুলিতে মারা গেছে এক হামলাকারী।
অন্যদিকে, পশ্চিম তীরে অবৈধ ইসরায়েলি বসতি হামরায় এক গাড়িতে হামলায় মৃত্যু হয়েছে দু’বোনের। তারা ব্রিটিশ নাগরিক বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে তাদের মা। হামলাকারীর পরিচয় জানা যায়নি।
প্রসঙ্গত, ইসরায়েলি আগ্রাসনের কড়া জবাব দিয়ে যাবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। ইহুদি বাহিনীর নৃশংসতার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়েছে জর্ডানসহ বিভিন্ন স্থানে।