রংপুরের পীরগঞ্জে হিন্দুপল্লীতে অগ্নিকা-ে ক্ষতিগ্রস্ত ৬১ জনের মাঝে নগদ আর্থিক সহযোগিতা করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। সোমবার দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিমের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল সেখানকার ক্ষতিগ্রস্ত হিন্দু পল্লী পরিদর্শন করে এ আর্থিক সহায়তা দেন।
এ উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠিত তাৎক্ষণিক অনুষ্ঠিত সমাবেশে মাওলানা আবদুল হালিম বলেন, আমরা স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের গর্বিত নাগরিক। সৌহার্দ্য-সম্প্রীতি আমাদের বন্ধন। আমাদের পরিচয় আমরা মানুষ-বনি আদম। মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীস্টান সকলের বসবাসের জায়গা এ দেশ। আপনাদের পল্লীতে দুষ্কৃতিকারীদের হামলার কথা শুনে আমিরে জামায়াত ডা: শফিকুর রহমান ব্যথিত হয়েছেন। সংগঠনের পক্ষ থেকে এ ঘৃণ্য কাজের নিন্দা জানিয়ে আমরা বিবৃতি দিয়েছি।
দুষ্কৃতিকারীদের গ্রেপ্তার ও শাস্তি প্রদান এবং ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের দাবি জানিয়েছি।
জামায়াতে ইসলামী সব সময়ই আর্ত-মানবতার সেবায় ভূমিকা পালন করে আসছে। অগ্নিকা-সহ দেশের বিভিন্ন দুর্যোগে জামায়াতে ইসলামী ধর্ম-বর্ণ-দল নির্বিশেষে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে ছুটে আসে ও তাদের আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করে থাকে। তারই ধারাবাহিকতাই আজ (সোমবার) আমরা আপনাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছি। আপনাদের ক্ষতির তুলনায় আমাদের সহায়তা খুবই কম। আমরা আপনাদেরকে আশস্ত করতে চাই যে, ভবিষ্যতেও আমরা আমাদের সামর্থানুযায়ী ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াব ইনশাআল্লাহ।
প্রতিনিধি দলে ছিলেন- কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চলের টীম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বেলাল, রংপুর জেলা আমির ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক গোলাম রব্বানী এবং জেলা সেক্রেটারি মাওলানা মো: এনামুল হক। স্থানীয় হিন্দু পল্লী সরদার ননী গোপাল শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন।
সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন- পীরগঞ্জ উপজেলা আমির মাওলানা একেএম ইদ্রিস আলী, উপজেলা সেক্রেটারি মাওলানা মনোয়ার হোসাইন, রামনাথপুর ইউনিয়নের সভাপতি মো: শফিকুল ইসলাম ও সেক্রেটারি মো: রাকিবুল ইসলাম প্রমূখ।
উল্লেখ্য, গত ১৭ই অক্টোবর রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার রামনাথপুর ইউনিয়নের বড় করিমপুর কসবা হিন্দু জেলে পল্লীতে দুষ্কৃতিকারীরা অগ্নিসংযোগ করে বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেয়। এ সময় বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় বেশ কিছু হিন্দু পরিবার।