তিমির বনিক, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের বড়লেখায় যৌতুকের দাবীতে স্ত্রীকে নির্যাতনকারী যৌতুকলোভী স্বামী আব্দুল কাইয়ুমকে আটক করেছে বড়লেখা থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৪ মে) ভোররাতে পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এসেআই মাসুক এর নেতৃত্বে একটি দলের অভিযানে তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। এদিকে জানা যায়, আব্দুল কাইয়ুম উপজেলার সুজাউল গ্রামের মইন উদ্দিনের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সাত বছর আগে উপজেলার সুজাউল গ্রামের সৌদিআরব প্রবাসী আব্দুল কাইয়ুমের সাথে বিয়ে হয় সুলতানা বেগমের। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের দাবিতে স্বামী আব্দুল কাইয়ুম ও তার প্রথম স্ত্রী আছমা আক্তার হেপী সুলতানার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাতে থাকেন। ইউরোপ যাওয়ার জন্য বাবার বাড়ি থেকে ৭ লাখ টাকা এনে দেয়ার দাবি জানিয়ে চাপ দিতে থাকে স্বামী আব্দুল কাইয়ুম ও প্রথম স্ত্রী আছমা আক্তার হেপী। টাকা আনতে পারবে না এমন অপারগতা প্রকাশ করলে শুরু হতো নিত্যদিন নির্যাতন। গত শনিবার যৌতুকলোভী স্বামী আব্দুল কাইয়ুম ও তার প্রথম স্ত্রী আছমা আক্তার হেপী গৃহবধূ সুলতানা বেগমের উপর অমানবিক শারীরিক নির্যাতন চালান। নির্যাতনের এক পর্যায়ে তারা অর্ধমৃত অবস্থায় একটি ঘরে তাকে বন্দী করে রাখেন। এমন খবর পেয়ে গৃহবধু সুলতানা বেগমের বাবা আব্দুল মালিক থানা পুলিশকে খবর দেয়। বাবা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে নিয়ে গিয়ে মুমূর্ষু অবস্থায় মেয়েকে উদ্ধার করে নিজ বাড়িতে নিয়ে যান। সোমবার বিকেলে অভিযোগ করলে পুলিশ মামলা রেকর্ড করে আসামী গ্রেপ্তারের জন্য তৎপর হয়। মঙ্গলবার ভোরে উপজেলার শাহবাজপুরে পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই মাসুক মিয়া অভিযান চালিয়ে নিজ বাড়ি থেকে আব্দুল কাইয়ুমকে গ্রেপ্তার করেন।
এর সত্যতা জানতে বড়লেখা থানার কর্মকর্তা ওসি (তদন্ত) মো. ফরিদ উদ্দিন জানান, ভিকটিম সুলতানা বেগমের দায়ের করা নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় স্বামী আব্দুল কাইয়ুমকে গ্রেপ্তার করে মঙ্গলবার বিকেলে আদালতে হাজির করা হয়। আদালতের বড়লেখা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জিয়াউল হক। কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ প্রদান করেন।