যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মহাকাশে নিজেদের আধিপত্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে মঙ্গল গ্রহের উদ্দেশ্যে
মহাকাশযান উৎক্ষেপন করেছে চীন। বৃহস্পতিবার চীন তার দক্ষিণনাঞ্চলের হাইনান দ্বীপ থেকে তিয়ানওয়েন-১ নামের মহাকাশযানটি উৎক্ষেপণ করে। চীনের মহাকাশযানটিতে রয়েছে একটি অরবিটার, ল্যান্ডার এবং রোভার।
চীনা ভাষায় তিয়ানওয়েন এর অর্থ হলো, ‘স্বর্গীয় সত্যের সন্ধান’। চীনা মহাকাশযানটি প্রথমে মঙ্গলের কক্ষপথে ঘুরবে। তারপর সেখান থেকে একটি রোভার যান অবতরণ করবে মরিচারঙের গ্রহে। রোভারটি মঙ্গলের মাটির প্রকৃতি, গ্রহের ভৌগলিক গঠন, আবহাওয়া, বায়ুমণ্ডল এবং পানির উৎস সন্ধান করবে।
এদিকে মার্কিন মহাকাশ সংস্থা-নাসা চলতি মাসের ৩০ তারিখে তাদের প্রিজারভেন্স নামক মঙ্গলযান উৎক্ষেপণ করবে বলে জানিয়েছে । দুই দেশের উৎক্ষেপিত মহাকাশযানই ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি নাগাদ মঙ্গলে পোঁছাবে, বলে আশা করা হচ্ছে।
সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে প্রিজারভেন্সের মাধ্যমে মঙ্গলের বুকে সপ্তম মহাকাশযান অবতরণের সফলতা অর্জন করবে নাসা। আর একইসঙ্গে আসবে চতুর্থতম রোভার যান অবতরণের সাফল্য। সর্বপ্রথম ২০১২ সালে মঙ্গলের বুকে নেমেছিল নাসার তৈরি রোভার ‘কিউরিওসিটি’। রোভার যানটি এখনও সচল আছে এবং নিয়মিত পৃথিবীতে নাসার বিজ্ঞানীদের কাছে মঙ্গলের তথ্যাবলী পাঠাচ্ছে। সেই তুলনায় মঙ্গলে চীনের প্রথম অভিযান হতে চলেছে তিয়ানওয়েন-১।
স্নায়ুযুদ্ধের সময় ১৯৬৯ সালে প্রথম চাঁদের বুকে মহাকাশযাত্রী অবতন করায় যুক্তরাষ্ট্র। যা সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে এক নতুন মাত্রার মহাকাশ প্রতিযোগিতা উস্কে দেয়। চীনের বর্তমান পরিকল্পনা তার ব্যতিক্রম নয়। বিশেষ করে, সফল মহাকাশ অভিযানে প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতার যে সম্মান মিলবে, তার সম্পর্কে ভালো করেই জানে বেইজিং। আর একইসঙ্গে প্রতিষ্ঠিত মহাকাশ শক্তি যুক্তরাষ্ট্রকে পিছিয়ে ফেললে, তাতে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রভাব বিস্তারের নতুন সুযোগ তৈরি হবে চীনা নেতৃত্বের।