র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এবং বাহিনীর সাবেক ও বর্তমান সাত কর্মকর্তার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের আরোপ করা নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, ‘মার্কিন প্রশাসনের সব সিদ্ধান্ত সঠিক নয়। যুক্তরাষ্ট্রেও প্রতি বছর লাখ লাখ লোক নিখোঁজ হয়। সেখানেও পুলিশের গুলিতে হাজারও মানুষ মারা যায়। এ জন্য তাদের বাহিনীর সদস্যদের কোনো শাস্তিও হয় না।’
আজ মঙ্গলবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের আমন্ত্রণে আগামীকাল বুধবার ঢাকায় আসছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। ভারতের রাষ্ট্রপতির এ আগমনের বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে সংবাদ সম্মেলন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘র্যাব এবং এ বাহিনীর সাবেক ও বর্তমান সাত কর্মকর্তার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের আরোপ করা নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে কাজ করার জন্য প্রধানমন্ত্রী আমাদের তিনজনকে (স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন) দায়িত্ব দিয়েছেন। তবে আপনাদের (সাংবাদিকদের) একটি বিষয় জানাতে চাই, আমাদের সহকর্মীরা জানিয়েছেন, আমেরিকায় প্রতি বছর প্রায় ছয় লাখ লোক নিখোঁজ হয়। আমেরিকার তথ্য অনুযায়ী, প্রতি বছর সেখানে হাজারখানেক লোককে পুলিশ মেরে ফেলে। গুলি করে মেরে ফেলে। আর আমাদের এখানে কালেভদ্রে একজন-দুজন মারা যায়।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশে র্যাব সন্ত্রাস দমনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। ফলে তারা বাংলাদেশের জনগণের আস্থা অর্জন করেছে। আমেরিকায় ছয় লাখ লোক নিখোঁজ হয়, হাজার হাজার লোক পাওয়া যায় মৃত অবস্থায়, সেজন্য সেসব প্রতিষ্ঠানে যারা চাকরি করেন, তাদের ওপর কোনো পানিশমেন্ট হয়েছে বলে আমি শুনিনি কোনোদিন।’
ভারতের রাষ্ট্রপতির আগমনের বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের বিজয় দিবসের সুবর্ণজয়ন্তী, মুজিববর্ষের সমাপনীর দিন উদযাপন এবং বাংলাদেশ-ভারত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে তিন দিনের এই রাষ্ট্রীয় সফরে আসছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি। তাঁর সঙ্গে সহধর্মিণী ও কন্যা, ভারতের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী, দুই জন পার্লামেন্ট মেম্বার ও পররাষ্ট্র সচিবসহ বিভিন্ন দপ্তরের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা আসবেন।’
সফরে কী কী বিষয়ে আলোচনা হতে পারে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ ও ভারতের যখনই সাক্ষাৎ হয়, আমরা সব ধরনের সমস্যা নিয়ে আলোচনা করি। যদিও ভারতের রাষ্ট্রপতি একটি বিশেষ আয়োজনে ঢাকায় আসছেন, তারপরও আমরা আশা করছি তাঁর সঙ্গে আমাদের ইস্যুগুলো নিয়ে আলোচনা করব।’