দেশে প্রবেশ ও বাহিরে আরটিপিসিআর বাধ্যতামূলক না করার সুপারিশ করেছে সরকারের কোভিড-১৯ জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। একইসঙ্গে করোনা টিকার ডোজ সম্পন্ন করার ১৪দিন অতিক্রান্ত হওয়া বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের কোভিড-১৯ টেস্ট ছাড়াই বাংলাদেশে প্রবেশের অনুমতি দেওয়ারও সুপারিশ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো কারিগরি কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, কমিটির ৫৬তম সভা গতকাল (১৬/২/২০২২) রাতে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লা। সভায় নিম্নলিখিত সুপারিশগুলো গৃহীত হয়-
১. বাংলাদেশে কোভিড-১৯ এর সংক্রমণের হার বর্তমানে নিম্নমুখী। কমিটি সংক্রমণের এই নিম্নমুখী গতি একইভাবে অব্যাহত থাকার বিবেচনায় আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সশরীরে ক্লাস শুরু করার সুপারিশ করে। শিক্ষার্থীদের দুই ডোজ টিকা সম্পন্ন করা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনের বিষয়েও কমিটি গুরুত্ব আরোপ করে। প্রাথমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অনলাইনে ক্লাস পরিচালনা অব্যাহত রাখার সুপারিশ করা হয়। পরিস্থিতির আরও উন্নতি হলে প্রাথমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্লাস সশরীরে শুরু করার বিষয় পরবর্তীতে বিবেচনা করা যেতে পারে।
২. কোভিড-১৯-এর বৈশ্বিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণের পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার স্বীকৃত কোভিড টিকার ডোজ সম্পন্ন করার ১৪দিন অতিক্রান্ত হওয়া বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের কোভিড-১৯ টেস্ট ব্যতীত বাংলাদেশে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া যেতে পারে সভায় মতামত দেওয়া হয়। কোভিড টিকার ডোজ সম্পন্ন করেন নাই এমন ব্যক্তিদের ভ্রমণ শুরুর পূর্বের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পিসিআর পরীক্ষার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বলে সভা মনে করে।
৩. বহির্গামী যাত্রীদের ক্ষেত্রে বর্তমানে পৃথিবীর কোনো দেশে প্রবেশের জন্য আরটি পিসিআর টেস্ট বাধ্যতামূলক নয়। এ অবস্থায়, বহির্গামী যাত্রীদের জন্য বাধ্যতামূলক না করে যে দেশে যাবেন অথবা যে এয়ারলাইন্সে ভ্রমণ করবেন, তাদের চাহিদা অনুযায়ী আরটি পিসিআর টেস্টের বিধান রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়।
তবে, যাত্রীর কাছে তার করোনা টিকার সনদ থাকা বাধ্যতামূলক করা প্রয়োজন। এয়ারলাইন্সগুলো এ সংক্রান্ত প্রমাণাদি নিশ্চিত করার দায়িত্ব পালন করতে পারে।
৪. করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সব ক্ষেত্রে শতভাগ সঠিকভাবে মাস্ক পরা ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করাসহ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের সুপারিশ করা হয়।