মোঃ রাসেল ইসলাম,যশোর জেলা প্রতিনিধি: যশোরের শার্শার শিকারপুর সীমান্তে সাড়ে ৭২ কেজি স্বর্ণ চোরাচালান মামলায় আটক মজিবর রহমান আদালতে স্বীকারোক্তি জবানবন্দি দিয়েছে। এক ভারতীয় নাগরিকসহ তারা ছয়জন জাড়িত বলে জানিয়েছেন তিনি।
বুধবার(২৪ জুন) জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সাইফুদ্দীন হোসাইন আসামির জবানবন্দি গ্রহণ শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। মজিবর রহমান শার্শার নারকেলবাড়িয়া গ্রামের ছেপতার আলীর ছেলে।
মজিবার রহমান জানিয়েছেন, তার বাড়ি থেকে ভারতের সীমান্ত দেখা যায়। ভারতীয় লোকজনের সাথে তাদের কথাবার্তা হয়। ২০১৮ সালের আগস্ট মাসে ভারতের গাংলে গ্রামের লিদুর সাথে তার কথা হয়েছিল। সেদিন সে তার বাড়িতে একদিনের জন্য কয়েকটি ব্যাগ রাখার প্রস্তাব দিয়েছিল। এ জন্য সে তাকে দুই হাজার টাকা দিতে চেয়েছিল। এরপর গোকর্ণ গ্রামের রানা এসে একটা ব্যাগ রেখে যায়। পরদিন রানাসহ চারজন লোক মোটরসাইকেলে এসে আরও তিনটি ব্যাগ তাদের বাড়িতে রাখে। এদিন সন্ধ্যায় মহিউদ্দিন, তোজাম্মেল, জাহিদুল ও লিদু ওই ব্যাগ নিয়ে ভারতের দিকে রওনা হয়। পথে বিজিবি ধাওয়া করে মহিউদ্দিন আটক করে এবং তিনিসহ অন্যরা ব্যাগ ফেলে পালিয়ে গিয়েছিল।
জানা যায়, ২০১৮ সালের ৯ আগস্ট রাতে শার্শার নারকেলবাড়িয়া সীমান্তের কাছে বিজিবি সদস্যরা ধাওয়া করে দুইজন স্বর্ণ পাচারকারীকে আটক ও তাদের কাছে থাকা ব্যাগ থেকে ৭২ কেজি ৪৫০ গ্রাম স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়।
এ ব্যাপারে বিজিবি’র হাবিলদার মুকুল হোসেন আটক দুইজনসহ অপরিচিত ব্যক্তিদের আসামি করে শার্শা থানায় মামলা দায়ের করে। মামলাটি প্রথমে থানা পুলিশ পরে ঢাকা সিআইডি পুলিশ তদন্তের দায়িত্ব পায়। তদন্তকালে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে মজিবরকে মঙ্গলবার শহর থেকে আটক করে সিআইড পুলিশ।আজ ২৪ /০৬ /২০২০ বুধবার তাকে আদালতে সোপর্দ করা হলে স্বর্ণ পাচারের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে ওই জবানবন্দি দিয়েছে।