মো. রাসেল ইসলাম,যশোর জেলা প্রতিনিধি: যশোরের সিমান্তবর্তী উপজেলা শার্শা-কাশিপুর সড়কের গোড়পাড়া বনমান্দার মোড় হতে পাকশিয়া বাজার পর্যন্ত বেশ কয়েকটি স্থান চলাচলের জন্য অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সড়কের ঐ সকল স্থানের কার্পেটিং ও বালি-খোয়া উঠে যাওয়ায় বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে বর্ষার শুরুতেই পানি কাঁদা জমে যান বাহন চলাচলের মারাত্বক ভাবে ব্যহত হচ্ছে। কখনো কখনো পন্যবাহী ছোট বড় যানবাহন খাদে আটকিয়ে দীর্ঘ সময় তীব্র যান জটের সৃষ্টি হওয়ার বিপাকে পড়ছে বিভিন্ন স্থানে কাজে কর্মে যাওয়া সাধারণ মানুষ, শিক্ষার্থী এবং উপজেলা ও জেলা শহরে চিকিৎসা নিতে যাওয়া অসুস্থ্য রোগী। সেই সাথে প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট বড় দূর্ঘটনা। দীর্ঘদিন ধরে সড়কের এমন বেহাল অবস্থা পরিলক্ষিত হলেও সংস্কারে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কোন উদ্দ্যোগ নিতে দেখা যাচ্ছে না।
সরেজমিন খোঁজ নিয়ে জানা যায়,শার্শা-কাশিপুর সড়কের গোড়পাড়া উত্তরপাড়া বনমান্দার মোড় সাইনদ্দির বাড়ির সামনে, গোড়পাড়া মোল্ল্যা বাড়ি মসজিদের সামনে, তেবাড়িয়া ইউনুচের বাড়ির সামনে, দুদু মিয়ার রাইচ মিলের সামনে,সরকারি বীর শ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ কলেজ গেট,শাড়াতলা বাজার,পাকশিয়া শিমুলতলা এবং কলম ডাক্তারের বাড়ির সামনে সহ বিভিন্ন স্থানে পাকা রাস্তা বর্তমানে বেহাল দশায় পরিনত হয়েছে। ঐ সকল স্থানে পিচের কাপিটিং ও বালি খোয়া উঠে গিয়ে বড় বড় খানা-খন্দ গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। শুষ্ক মৌসুমে ধুলা-বালির মধ্যে মুখে কাপড় বেঁধে মানুষ জন ও যানবাহন চলাচল করলেও এখন পরিস্থিতি আরও বেগতিক হয়ে পড়েছে। বর্ষার শুরুতেই খানা-খন্দ গর্তে পানি কাঁদা জমে মানুষজন ও যানবাহন চলাচলে মারাত্বক ভাবে ব্যহত হচ্ছে। অধিকাংশ সময় সড়কে যাতায়াতকারী যান বাহন ও পন্যবাহী ছোট-বড় গাড়ি গর্তে আটকে থেকে দীর্ঘ সময় যান জটের সৃষ্টি হচেছ। ফলে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে দুর-দুরান্তে যাতায়াতকারী মানুষজন ও অসুস্থ্য রোগীদের। রাস্তায় ঐ সকল খানা-খন্দ গর্তের পানি কাঁদা ছিটকে পথচারি,শিক্ষার্থী ও দোকানে বসা জন সাধারনকে নাস্তা-নাবুধের শিকার হতে হচ্ছে।
সেই সাথে মোটরসাইকেল,মোটরভ্যান,ইজিবাইক,এবং থ্রি-ইউলার খাদে উল্টে ও কাঁদায় স্লিপ কেটে বাড়ছে ছোট বড় দূর্ঘটনা। তথ্যানুসন্ধানে আরও জানা যায়,বেনাপোল স্থল বন্দর থেকে ভারী পন্যবাহী ট্রাক সহজে যাতায়াতের জন্য রাতে শার্শা-কাশিপুর সড়ক হয়ে চৌগাছা কালিগঞ্জ ঝিনাইদহ এবং ছুটিপুর ধর্মতলা যশোর শহর হয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে যায়। সেই সাথে ইট-বালি, সিমেন্ট, রড, পাথর-মাটি বোঝাই গাড়ি চলাচল করায় বর্তমানে সড়কের এমন বেহাল দশায় পরিনত হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানান।
শাড়াতলা কলেজ গেটের ফার্নিচার, রাইচ মিল ও বাজারের ওয়ার্কশপ ব্যবসায়ী আক্তার, রফিকুল এবং শরিফুল বলেন,তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে রাস্তার বড় গর্তের কারনে যানবাহন ও মানুষ চলাচলে খুব অসুবিধা হচ্ছে। দীর্ঘসময় গাড়ি গর্তে আটকে থাকছে,পানি কাঁদা ছিটকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও মানুষের গায়ে লাগছে। তাই ঠিকমত দোকানও খুলতে পারছিনা। পথচারী শহিদুল ও শ্যামলী বলেন জরুরী কাজে নাভারন যেত হবে রাস্তার গর্তে ট্রাক আটকে থাকায় দ্রুত যেতে পারছিনা। কয়েক জন শিক্ষার্থী বলেন,কোচিং করতে যাওয়া আসার সময় দ্রুত গাড়ির চাকার খানা-খন্দ গর্তের পানি- কাঁদা শরীরের পোশাক নষ্ট হয়ে যায়। তখন ভীষন বিড়ম্বনার মধ্যে পড়তে হয়। এগুলো সংষ্কার করা খুব প্রয়োজন। অনেকের সাথে কথা বলে এমন দূভোর্গ বিষয় জানা যায়। এমতাবস্থায় জনগুরুত্বপূর্ন শার্শা-কাশিপুর সড়কের প্রতিবেদন উল্লেখিত স্থান সমূহ দূভোর্গ লাঘবে জনস্বার্থে দ্রুত সংস্কার কাজ করার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন এলাকাবাসী ও সচেতন মহল।