জোয়ারের পানি আসা শুরু হতে না হতেই যমুনার দুই পাড়ে দেখা দিয়েছে ভয়াবহ ভাঙন। ফলে বর্ষার শুরুতেই যমুনার গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে টাঙ্গাইলের নদী তীরবর্তী ঘর-বাড়ি ও ফসলি জমি। পানি উন্নয়ন বোর্ড জরুরি ভিত্তিতে নদীতে কিছু জিওব্যাগ ফেললেও তা ভাঙন ঠেকাতে কোনো কাজে আসছে না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
গত বছর থেকে টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার গোহালিয়াবাড়ী ইউনিয়নের বেলটিয়াবাড়িসহ কয়েকটি গ্রামে তীব্র ভাঙন শুরু হয়। এই ভাঙন এখনও অব্যাহত রয়েছে। এছাড়াও নতুন পানি আসার সাথে সাথে ভাঙন শুরু হয়েছে সদরের হুগরা, কাকুয়া, মাহমুদনগর ইউনিয়নে। তাছাড়া নাগরপুর উপজেলার দপ্তিয়র ও সলিমাবাদ ইউনিয়ন এবং ভূঞাপুর উপজেলার অর্জুনা ইউনিয়নে ভাঙন শুরু হয়ে গেছে।
নদীপাড়ের সাধারণ মানুষ বলছেন, প্রতিবছরই নতুন নতুন এলাকায় আঘাত হানছে প্রমত্তা যমুনা। গত কয়েক বছরে যমুনার ভাঙনে বেশ কয়েকটি গ্রাম মানচিত্র থেকে হারিয়ে গেছে। এতে বাড়ি-ঘর, ফসলি জমি হারিয়ে দিশেহারা অনেক পরিবার।
টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা বলছেন, বর্তমানে কিছু জায়গায় আপৎকালীন জিওব্যাগ ফেলা হচ্ছে। বেলটিয়াবাড়িতে ২ কোটি ৭৯ লাখ টাকা ব্যয়ে চলমান বাঁধ নির্মাণের কাজ শেষ হলে ভাঙন ঠেকানো সম্ভব হবে।