তিমির বনিক, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: মৌলভীবাজার সদর উপজেলার চাঁদনীঘাট ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের গুজারাই গ্রামের জনি মিয়া নামের এক যুবক গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে।
অদ্য রোববার (১৫ জানুয়ারী) আনুমানিক বিকেল ৩টার দিকে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে। ঘটনাটি যুবকের বর্তমান ভাড়া বাসা চাঁদনীঘাটের পাশে একাটুনা রোডস্থ সম্রাট কমিউনিটি সেন্টারের সামনের বিল্ডিং এর দু’তলা ভবনে।
ঘটনার পরপরই মৌলভীবাজার মডেল থানা খবর পেয়ে তদন্ত অফিসার মশিউর রহমান ও এসআই রুবেল উদ্দিন সরজমিনে এসে লাশটি মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠান।
এ বিষয়ে মৃত জনি মিয়ার চাচা জানান, এক বছর ধরে এই বিল্ডিং এ বসবাস করছে সে ২০২২ সালে ১৮ ডিসেম্বর জনির বিবাহিত স্ত্রী যুক্তরাজ্যে চলে যায়। জনিও যুক্তরাজ্য যাওয়ার প্রস্তুতি চলছিলো কিছু কাগজপত্র ঠিকটাক করার জন্য ইউনিয়ন সহ বিভিন্ন অফিসে গিয়েছিলো কিন্তু হঠাৎ করে এমন অঘটন ঘটলো তিনি মেনে নিতে পারছেন না।
আরও জানান, ১৪ তারিখ শনিবার রাতে ঘুমাতে যায় পরদিন বিকেলে রুমে থাকে। পরিবারের লোকজন খোঁজ নিলে রুম থেকে কোনো সাড়াশব্দ না পেলে এলাকার অন্যান্যরা আশপাশের লোকজন এসে উপস্থিত হন। পরবর্তীতে আত্মহত্যা বুঝতে পেরে থানায় জানানো হয়।
এবিষয়ে চাঁদনীঘাট ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ইউ’পি সদস্য সাহেদ আহমদ জানান, সে আমার এলাকার ছেলে পেশায় ইলেকট্রিশিয়ান ছিল তার চলাফেরা খুবই ভালোছিল তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেন।
অন্যদিকে একাটুনা ইউ’পি সদস্য মনিরুল ইসলাম ইমন জানান, তিনি এই রোডে দিয়ে আসার পথে মানুষের ভিড় দেখে জানতে পারেন জনি নামের এই ছেলেটি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে শেষপর্যন্ত তিনি পুলিশ লাশ নিয়ে যাওয়া পর্যন্ত তিনি সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
এই বিষয়ে জানতে মৌলভীবাজার সদর মডেল থানা পুলিশের ইনচার্জ ওসি মোঃ ইয়াসিনুল হক জানান, ঘটনাস্থলে পৌঁছে থানার অফিসাররা গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে আত্মহত্যা বা অন্য কোন কিছু বলা যাবে না। তবে এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ কারো পাওয়া যায়নি। ধারনা করা হচ্ছে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে।