তিমির বনিক, মৌলভীবাজার থেকে: মৌলভীবাজারের রাজনগর, শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জে পুষ্টি সমৃদ্ধ ব্রোকলি চাষ হচ্ছে। রাজনগর উপজেলার উত্তরভাগ ইউনিয়নের বড়দল গ্রামের আজমল আলী ৩ বিঘা জমিতে ৮ হাজার ব্রোকলি চাষ করেছেন। কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর ইউনিয়নের সতিঝির গ্রামে পরীক্ষামূলকভাবে ২০০ ব্রোকলির চারা রোপণ করে ভালো ফলন পেয়েছেন অলি আহমেদ।
কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, ব্রোকলি বা সবুজ ফুলকপি এ জেলার শাক- সব্জির চাহিদা সম্পন্ন পরিবারে একটি নতুন সব্জির জাত। এটি দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। কৃষকরা এটি চাষ করে লাভবান হচ্ছেন। এর উপকারিতা অনেক, ব্রোকলি হলো অন্যান্য সব্জির চেয়ে তুলনামূলকভাবে বেশি পুষ্টিকর। প্রথমবারের মতো জেলায় ১০ হেক্টর জমিতে ব্রোকলি চাষ হয়েছে।
কৃষকরা জানিয়েছেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতা নিয়ে নতুন সব্জির ব্রোকলি চাষ শুরু করেছেন। ফলন ভালো হয়েছে। বাজারে এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। ভলো দামে বিক্রি করা যাচ্ছে। নতুন সব্জির হওয়ায় ক্রেতারা কৌতূহলবশত বেশি কিনছেন।
জেলার রাজনগর উপজেলার আজমল বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে শাক-সবজি চাষ করে আসছি। আমার ৪ একর জমিতে সব ধরণের শাক-সবজি রয়েছে। চলতি বছর কৃষি বিভাগের উৎসাহে ৩ বিঘা জমিতে ৮ হাজার ব্রোকলি চাষ করেছি। প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। আমার ৩ লাখ টাকা আয় করার আশা রয়েছে।
কমলগঞ্জ উপজেলার সতিঝির গ্রামে অলি আহমেদ বলেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে প্রশিক্ষণসহ ব্রোকলির ২০০টি চারা পেয়েছেন, চারা রোপণের পর আশানুরূপ সাফল্য পেয়েছেন। নতুন সব্জির হওয়ায় অনেকেই আগ্রহী হয়ে কিনছেন। তিনি আরো জানান, প্রতি পিস ব্রোকলি ৩৫ থেকে ৪০ টাকা বিক্রি হচ্ছে, বাজার ভালো থাকলে ৭ থেকে ৮ হাজার টাকার ব্রোকলি বিক্রি করা যাবে। আগামী বছর তিনি ১০০০ ব্রোকলির চারা রোপণ করবেন বলে আশা করছেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর মৌলভীবাজারের উপ-পরিচালক কাজী লুৎফুল বারী বলেন, ব্রোকলি সবুজ ফুলকপি বাংলাদেশের জন্য শাক- সব্জির পরিবারে একটি নতুন সব্জির জাত। এটি দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কৃষকরা এটি চাষ করে লাভবান হচ্ছেন। মৌলভীবাজারে প্রায় ১০ হেক্টর জমিতে এবছর ব্রোকলি চাষ হয়েছে।